হার্টের রোগ নিয়ে কিছু ভুল ধারণা। ছবি: সংগৃহীত।
ব্যস্ততম জীবনে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরলের মতো ক্রনিক রোগের ঝুঁকি ক্রমশ বেড়েই চলেছে। শারীরিক এই অসুস্থতার হাত ধরেই জন্ম নিচ্ছে হার্টের অসুখ। হার্টের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে আগের চেয়ে। তবে একসঙ্গেই হার্টের অসুখ নিয়ে কিছু ভ্রান্ত ধারণাও রয়েছে। সেই ধারণাগুলি আগে মুছে ফেলা জরুরি। তা না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
হার্টের রোগ বংশগত
পরিবারে কারও হার্টের সমস্যা থাকলে এই রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই ধারণা ভুল। বংশে কোনও হার্টের রোগ থাকলে একটা আশঙ্কা থাকে, তবে সেটাই একমাত্র কারণ নয়। বরং আধুনিক জীবনযাপন, ধূমপানের অভ্যাস, মদ্যপান, দেদার বাইরের খাবার খাওয়া হার্টের রোগের অন্যতম কারণ।
ফ্যাট কম খেলেই সুরক্ষিত থাকা যাবে
ডায়েট থেকে ফ্যাট বাদ দিলেই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমবে, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। ট্রান্স ফ্যাটের মধ্যে থাকা হাইড্রোজেন অয়েলও হার্টের জন্য অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। তবে চিজ়, ডিম, অ্যাভোকাডোতে থাকা ফ্যাট হার্টের জন্য স্বাস্থ্যকর।
বুকে ব্যথা মানেই হার্টের রোগের লক্ষণ নয়
অফিস থেকে ফিরে হঠাৎ বুকের বাঁ দিকে ব্যথা করে উঠল। হার্টের সমস্যা হয়েছে ধরে নিয়ে সোজা চলে গেলেন হৃদ্রোগ চিকিৎসকের কাছে। বুকে ব্যথা মানেই হার্টের সমস্যা হয়েছে, এমনটা ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। বুকে ব্যথা না হলেও হার্টের সমস্যা নীরবে আসতে পারে। মাথা ঘোরা, শ্বাস নিতে কষ্ট, বমি বমি ভাবও কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ।
ডায়াবিটিসের সঙ্গে হার্টের রোগের সম্পর্ক নেই
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডায়াবিটিস হালকা ভাবে নেবেন না। ডায়াবিটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না রাখলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। তবে শুধু ডায়াবিটিস নয়, কোলেস্টেরল, স্থূলতার কারণেও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
পুরুষদের ঝুঁকি বেশি
এমন একটা ধারণা রয়েছে যে, পুরুষদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি মহিলাদের তুলনায় বেশি। যদিও পুরুষদের মধ্যে অল্প বয়সে বেশি আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়, কিন্তু উদ্বেগ-স্থূলতার মতো অনেক কারণ রয়েছে, যা মহিলাদেরও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।