আলোর উৎসবে ত্বক হোক আরও চকচকে। ছবি: সংগৃহীত।
উৎসব যায়, উৎসব আসে। দুর্গাপুজোর রেশ এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি বাঙালি। তার আগেই নতুন উৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। কয়েক দিন পরেই দীপাবলি। আলোর উৎসব উদ্যাপনের পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। বাঙালির উৎসব আর সাজগোজ হাত ধরাধরি করে চলে। শুধু উৎসব নয়, সাজগোজও জমকালো হওয়া চাই। তার জন্য রূপটান একমাত্র ভরসা হলে চলবে না। ত্বকের চাই নিজস্ব জেল্লা। হাতে এখনও কিছু দিন বাকি। ত্বকে উৎসবের জেল্লা আনতে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে পারেন।
পর্যাপ্ত ঘুম
রাতভর চোখের পাতা এক করবেন না, আবার ত্বকও জেল্লাদার হবে, এমন আশা করা বৃথা। সুস্থ ত্বক পেতে হলে ঘুম পর্যাপ্ত হওয়া জরুরি। কম ঘুমের কারণে ত্বক ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে পড়ে। ত্বক ভিতর থেকে জেল্লা হারাতে শুরু করে। ব্যস্ততা থাকলেও দীপাবলির আগে বেশি ক্ষণ ঘুমোনোর চেষ্টা করুন।
বেশি করে জল খাওয়া
ত্বকের যত্নের অন্যতম ধাপ হল বেশি করে জল খাওয়া। জল কম খেলে ত্বক আর্দ্রতা হারাতে শুরু করবে। ত্বকের জেল্লাও কমে যাবে কম জল খাওয়ার অভ্যাসে। জল খেলে ত্বক ভিতর থেকে সতেজ হয়ে ওঠে।
ভাজাভুজি থেকে দূরে থাকা
উৎসবের সময়ে ভাজাভুজি থেকে দূরে থাকা সত্যিই কষ্টকর। কিন্তু উৎসব আসার আগে নিজেকে একটু আটকে রাখা জরুরি। তা হলে উৎসবের ভিড়ে আলাদা করে নজর কাড়তে কোনও অসুবিধা হবে না। প্রক্রিয়াজাত খাবার, ভাজাভুজি ত্বকের জন্য সত্যিই ক্ষতিকর। এই ধরনের খাবার খাওয়ার অভ্যাসে ত্বক ক্রমশ নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে।
শরীরচর্চা
ওজন কমানোই শরীরচর্চার একমাত্র কাজ, এমন ধারণা ভুল। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে যত্নে থাকে ত্বকও। জেল্লাদার, উজ্জ্বল ত্বকের নেপথ্যে রয়েছে শরীরচর্চার অভ্যাস। শারীরিক কসরতে জমে থাকা টক্সিন বেরিয়ে যায়। ফলে শুধু শরীর নয়, ঝকঝকে হয় ত্বকও।
চিনির সঙ্গে আড়ি
ত্বকের সবচেয়ে বড় শত্রু হল চিনি। ত্বকের লালিত্য বজায় রাখতে চিনি খাওয়া বন্ধ করা ছাড়া কোনও উপায় নেই। শুধু চিনি বলে নয়, মিষ্টিজাতীয় যে কোনও খাবার খাওয়ার অত্যধিক অভ্যাস ত্বকের উপর প্রভাব ফেলে। ঝলমলে ত্বক পেতে চিনি খাওয়া বন্ধ করাই ভাল।