নতুন জিমে গিয়ে কোন ভুল এড়িয়ে চলবেন? ছবি: সংগৃহীত।
কয়েক দিন হল ভুঁড়ি কমাতে নিয়ম করে রোজ জিমে যাওয়া শুরু করেছেন, ভাল মতো পরিশ্রমও করছেন। অথচ ওজন যে কে সেই! বেশি দিন এমনটা চলতে থাকলে এক সময়ে শরীরচর্চা থেকেই আপনি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। আপনি ভাবছেন ঠিক মতো সব মেনেই শরীরচর্চা করছেন, তা হলে এমন হচ্ছে কেন! কোথায় গলদ থাকছে বুঝবেন কী করে? রোজের জীবনে অজান্তে এমন কিছু ভুল হয়ে যায়, যার কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যায়াম করেও কোনও লাভ হয় না! জেনে নিন সদ্য জিমে যাওয়া শুরু করলে কোন ভুলগুলি এড়িয়ে চলতে হবে।
১) প্রথম প্রথম জিমে গিয়ে শরীরচর্চা শুরু করলে কিন্তু চোট-আঘাতের ঝুঁকি বেশি। এই ঝুঁকি কমাতে রোজ ভারী শরীরচর্চা শুরু করার আগে ওয়ার্ম আপ করতে ভুলবেন না। হাতে সময় কম থাকলেও কিন্তু এই কাজটি না করলেই নয়।
২) জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করতে গিয়ে বড় করে বিপদের ঝুঁকি এড়াতে দু’টি এক্সারসাইজ় সেটের মাঝে বিরতি নেওয়া জরুরি।
৩) নতুন জিমে ভর্তি হলে প্রথম দু’-তিন মাস এক জন নিজস্ব ট্রেনারের অধীনে ট্রেনিং নেওয়া দরকার। আপনার শরীর অনুযায়ী কোন কোন শরীরচর্চা উপযোগী, সেটা একমাত্র তিনিই বলতে পারেন। শরীরচর্চার সময়ে ভঙ্গি ঠিক না হলে লাভের লাভ কিছুই হয় না। তাই ট্রেনারের কাছ সঠিক ভঙ্গি জানা জরুরি।
৪) নিয়মিত শরীরচর্চা করলে পেশির শক্তি ও শারীরিক শক্তি ফেরানোর জন্য প্রোটিন খাওয়া দরকার। পুষ্টিবিদরাও ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেট খাওয়া কমিয়ে প্রোটিনের উপরে বেশি জোর দেন। তবে প্রোটিনও খেতে হবে পরিমাণ মতো। অতিরিক্ত পরিমাণে প্রোটিন খেয়ে ফেললে ওজন কমানোয় সমস্যা হবেই। ওজন ঝরানোর পরিকল্পনা থাকলে দেহের প্রতি কিলোগ্রাম ওজনের জন্য ১.২ গ্রাম থেকে ১.৬ গ্রাম প্রোটিন খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত প্রোটিন দেহে চর্বি হিসাবে জমে যায়, যার ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
৫) সপ্তাহে তিন দিন জিমে গিয়ে প্রচুর পরিশ্রম করে নিলেন আর বাকি দিনগুলি ঘরে বসেই কাটিয়ে দিলেন, এমনটা করলে কিন্তু চলবে না। ওজন ঝরাতে চাইলে শরীরচর্চার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। প্রতিদিন যে শরীরচর্চাটাই করবেন, সেটা ৩০-৪০ মিনিট টানা করা উচিত। কোনও দিন কম, কোনও দিন বেশি করলে ফল পাওয়া যায় না।