এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলি নিয়মিত খেলে উদ্বেগের সমস্যা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। ছবি: সংগৃহীত।
পুজোর মাসে বাড়তি খরচ আছে। কিন্তু সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেতন তো বাড়েনি। তার উপর পরিবারের অন্যান্য দায়দায়িত্ব মানসিক উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে। চারপাশে সব কিছু গতিময় হয়ে পড়লেও জীবন কেমন যেন ছন্দহীন হয়ে পড়ছে। মনের ভিতর অস্থিরতার জন্ম দিচ্ছে। মনের ভার লাঘব করতে নিজের পছন্দ মতো কাজ করতে বলেন মনোবিদেরা। তাই ইচ্ছে হতেই গুচ্ছের কেনাকাটা করে ফেলছেন। যা খুশি তাই খাচ্ছেন। তাতে হয়তো মন সাময়িক ভাবে ভাল হচ্ছে। কিন্তু এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলি নিয়মিত খেলে বিপদ বেড়ে যায় কয়েক গুণ।
১) ভাজাভুজি
এই ধরনের খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ট্রান্স ফ্যাট। এই ফ্যাট উদ্বেগ বাড়িয়ে দেওয়ার অন্যতম একটি কারণ। তাই যদি সব সময়ে মানসিক উদ্বেগ কাজ করে, সে ক্ষেত্রে বাইরের ভাজাভুজি এড়িয়ে চলুন। তাতে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। উদ্বেগের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে এই খাবারগুলি।
২) ক্যাফিন
সারা দিনের ক্লান্তি কাটাতে কফির জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু এই কফিই বাড়িয়ে দিতে পারে উদ্বেগের সমস্যা। কারণ, কফিতে থাকা ক্যাফিন স্নায়ুর কার্যকারিতা শিথিল করে দেয়। সেই সঙ্গে ক্যাফিন রক্তচাপের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। উচ্চ রক্তচাপ মানসিক উদ্বেগের একটি অন্যতম বড় কারণ। ক্যাফিন মাত্রেই যে ক্ষতিকর, তা নয়। দিনে ৪০০ মিলিগ্রাম ক্যাফিন খেলে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে এর বেশি খেলে কিন্তু উদ্বেগ বাড়তে পারে।
৩) নোনতা খাবার
যে সব খাবারে নুন বেশি, সেগুলি খেলে রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। তা ছাড়া, অতিরিক্ত সোডিয়াম, ইলেক্ট্রলাইটের ভারসাম্য নষ্ট করে। যা স্ট্রেস হরমোনের উপর মারাত্মক ভাবে প্রভাব ফেলে।
৪) মিষ্টিজাতীয় খাবার
মনখারাপ হলেই চকোলেট খেতে ইচ্ছা করে। কিংবা হাতের সামনে মিষ্টি দেখলেই মনে হয় একটু খেয়ে নিই। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন কেক, পেস্ট্রি বা এই ধরনের খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। শর্করার মাত্রা ওঠানামা করায় উদ্বেগও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। তাই উদ্বেগের সমস্যা যাঁদের রয়েছে, তাঁদের এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল।
৫) দুগ্ধজাত খাবার
অনেকেরই দুগ্ধজাত খাবার খেলে আমাশয়ের সমস্যা বেড়ে যায়। হজমের গোলমাল হয়। দুধ না খেলেও পনির, চিজ়, ছানা বা দুগ্ধজাত যে কোনও খাবারই পেটের এই ধরনের অস্বস্তি বাড়িয়ে তুলতে পারে। যা মনের উপরেও চাপ ফেলে।