Curd with Raisins Health Benefits

দই-কিশমিশ খেলেই কমবে হজমের সমস্যা! আর কী কী উপকার হবে শরীরের জানালেন করিনার পুষ্টিবিদ

দই-কিশমিশ খেলেই কমবে হজমের সমস্যা! আর কী কী উপকার হবে শরীরের জানালেন করিনার পুষ্টিবিদ

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:১৭
Kareena Kapoor\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\'s nutritionist shares health benefits of having curd with raisins as mid-day snack

রোজ দইয়ের সঙ্গে কিশমিশ খাবেন কেন, জানালেন করিনার পুষ্টিবিদ ঋতুজা। ছবি: সংগৃহীত।

গরমের তীব্র দাবদাহের হাত থেকে শরীর বাঁচাতে প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় দই রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। এ সময়ে শরীর সুস্থ রাখতে দইয়ের কোনও জুড়ি নেই। প্রোবায়োটিক ভাল উৎস দই। তবে জানেন কি দই পাতার সময়ে কয়েকটি কিশমিশ মিশিয়ে দিলে উপকারিতা বেড়ে যায় আরও কয়েক গুণ? বলি অভিনেত্রী করিনা কপূরের পুষ্টিবিদ ঋতুজা দিবেকর নিজের ইনস্টাগ্রামে দই-কিশমিশের গুণাগুণের কথা ভাগ করে নিয়েছেন সকলের সঙ্গে। কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে দ্রবণীয় ফাইবার। গরমের দিনে পেটের সমস্যা লেগেই থাকে। দই আর কিশমিশের মিশ্রণেই গরমের দিনে জব্দ হবে নানা রোগ-ব্যাধি। ঋতুজা জানিয়েছেন, তাঁর ঠাকুরমার এই রেসিপি কিন্তু গরমের দিনে অনেক সমস্যারই দাওয়াই হতে পারে।

Advertisement

কী ভাবে তৈরি করবেন কিশমিশ দেওয়া দই?

প্রথমে একটি বাটিতে গরম ফুল ফ্যাট দুধ নিন। এ বার তার মধ্যে দিয়ে দিন চার থেকে পাঁচটি কিশমিশ। এর পর সামান্য দই দুধ-কিশমিশের মিশ্রণে দিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিন। লক্ষ রাখবেন যেন পাত্রের সারা গায়ে দইয়ের মিশ্রণ ভাল করে লেগে যায়। তার পর ঈষদুষ্ণ দুধ দিয়ে হালকা করে মিশিয়ে নিয়ে পাত্রটি একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন। আট থেকে ১২ ঘণ্টা লাগবে দই জমতে। এই সময়ে একেবারেই বাটি নড়াচড়া করা চলবে না।

কিশমিশ মেশানো দই শরীর থেকে খারাপ ব্যাক্টেরিয়া দূর করে আর হজমে সাহায্যকারী ভাল ব্যাক্টেরিয়া তৈরি করে।

কিশমিশ মেশানো দই শরীর থেকে খারাপ ব্যাক্টেরিয়া দূর করে আর হজমে সাহায্যকারী ভাল ব্যাক্টেরিয়া তৈরি করে।

কী কী গুণ রয়েছে কিশমিশ মেশানো দইয়ে?

১) গরমে হজমের সমস্যা লেগেই থাকে। কিশমিশ মেশানো দই শরীর থেকে খারাপ ব্যাক্টেরিয়া দূর করে আর হজমে সাহায্যকারী ভাল ব্যাক্টেরিয়া তৈরি করে। ফলে পেট ভাল থাকে। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় এই দই রাখলে বদহজম এবং অম্বলের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। কোষ্ঠকাঠিণ্যের সমস্যা থাকলেও এটি খাওয়া যেতে পারে।

২) যাঁরা পাইরিয়ার সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্যেও এটি খুব উপকারী। এই মিশ্রণ ক্যালশিয়ামে ভরপুর যা দাঁত ও হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। মাণড়ির রক্তপাত কমায়।

৩) একটু বয়স বাড়লেই গাঁটের ব্যথায় নাজেহাল হতে হয় অনেকেই। এ ক্ষেত্রে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় দই-কিশমিশ রাখতে পারেন। বাতের ব্যথায় উপশম পাবেন।

৪) এই মিশ্রণ রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে রাখে।

৫) দুপুরের দিকে হালকা খিদে পেলে এই দইয়ের মিশ্রণ খেতে পারেন। অনেক ক্ষণ পেট ভরে থাকে। হজম ভাল হয় বলে ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণে।

আরও পড়ুন
Advertisement