High Cholesterol

ওষুধ খেয়েও নিয়ন্ত্রণে থাকছে না কোলেস্টেরলের মাত্রা? ঘরোয়া উপায়ে কী ভাবে জব্দ হবে রোগ

উচ্চ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা কিন্তু সহজ নয়। অসম্ভবও নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলার পাশাপাশি, দৈনন্দিন জীবনে কিছু নিয়ম মেনে চললে ভাল। এতে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে থাকবে উচ্চ কোলেস্টেরল।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৩:৪৩
উচ্চ কোলেস্টেরল বা হাইপারকোলেস্টেরোলেমিয়া সাধারণের কাছে একেবারে অপরিচিত বিষয় নয়।

উচ্চ কোলেস্টেরল বা হাইপারকোলেস্টেরোলেমিয়া সাধারণের কাছে একেবারে অপরিচিত বিষয় নয়। ছবি-প্রতীকী

ভারতে প্রতি বছর উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যায় আক্রান্ত হন ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ। ২০১৭ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, শহরে ২৫-৩০ শতাংশ মানুষ উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগে থাকেন। ফলে উচ্চ কোলেস্টেরল বা হাইপারকোলেস্টেরোলেমিয়া সাধারণের কাছে একেবারে অপরিচিত বিষয় নয়। এই রোগে রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল দেখা যায়। এই বাড়তি কোলেস্টেরল রক্ত প্রবাহের স্বাভাবিক চলাচলে বাধা দেয়। হৃদ্‌যন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি হৃদ্‌রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। হাইপারকোলেস্টেরোলেমিয়া লিপিড ডিসঅর্ডার বা হাইপারলিপিডেমিয়া নামেও পরিচিত।

বমি বমি ভাব, শরীর অসাড় হয়ে যাওয়া, ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা— এই উপসর্গগুলি উচ্চ কোলেস্টেরলের কিছু প্রাথমিক লক্ষণ। উচ্চ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা কিন্তু সহজ নয়। তবে অসম্ভবও নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চলার পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলা জরুরি। এতে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে থাকবে উচ্চ কোলেস্টেরল।

Advertisement
রক্তে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সবুজ শাকসব্জি, মরসুমি ফল বেশি করে খাওয়া জরুরি।

রক্তে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সবুজ শাকসব্জি, মরসুমি ফল বেশি করে খাওয়া জরুরি। ছবি- সংগৃহীত

সুষম খাবার খাওয়া

অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া এবং বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা উচ্চ কোলেস্টেরলের অন্যতম কারণ। শুধু কোলেস্টেরল বলে নয়, কী খাচ্ছেন এবং কখন খাচ্ছেন, সে দিকেও খেয়াল রাখা অত্যন্ত জরুরি। রক্তে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সবুজ শাকসব্জি, মরসুমি ফল বেশি করে খাওয়া জরুরি। তবে যখন-তখন খেলে হবে না। খেতে হবে সময়মতো।

শরীরচর্চা

উচ্চ কোলেস্টেরল জব্দ করতে নিয়ম করে শরীরচর্চা করা প্রয়োজন। শুধু ওজন কমানো ছাড়াও শরীরচর্চার অভ্যাস ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল, থাইরয়েডের মতো ক্রনিক সমস্যাও কমিয়ে দিতে পারে। রোজ অল্প সময়ের জন্য হলেও শরীরচর্চা করুন। শারীরিক কসরত করতে জিমেই যেতে হবে এমন নয়। বাড়িতেও সকালে উঠে যোগাসন করতে পারেন। কোলেস্টেরলের রোগীদের সুস্থ থাকতে শরীরচর্চা জরুরি একটি অভ্যাস।

ধূমপান এবং মদ্যপানের অভ্যাস ত্যাগ করুন

কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে ধূমপান এবং মদ্যপান বন্ধ করা প্রয়োজন। ধূমপান শরীরে ভাল কোলেস্টেরল ‘এইচডিএল’-এর মাত্রা কমিয়ে দেয়। উল্টে খারাপ কোলেস্টেরল ‘এলডিএল’-এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। মদ্যপানের অভ্যাসও ঠিক একই কাজ করে। দীর্ঘ দিন সুস্থ থাকতে এই দু’টি অভ্যাস ত্যাগ করুন।

আরও পড়ুন
Advertisement