Cancer Risk

শুধু হৃদ্‌রোগ নয়, নুন খাওয়ার প্রবণতায় বাড়ছে ক্যানসারের ঝুঁকিও, জানাচ্ছে নয়া গবেষণা

উচ্চ রক্তচাপ থেকে হৃদ্‌রোগ— নেপথ্যে রয়েছে নুন খাওয়ার অভ্যাস। নুনের কারণেই আরও এক রোগের আশঙ্কা বাড়ছে বলে জানাচ্ছে সাম্প্রতিকতম গবেষণা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:৪৩
Is Excessive Salt the Cause For Stomach Cancer.

কোন ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করছে নুন? ছবি: সংগৃহীত।

নুন ছাড়া রান্না মুখে তোলা যায় না। তা সত্ত্বেও সুস্থ থাকতে এবং দীর্ঘজীবী হতে জীবন থেকে নুন বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। রক্তচাপ বৃদ্ধি করা ছাড়াও নুন খাওয়ার অভ্যাসে বহু জটিল রোগের মুখোমুখি হতে হয়। পেটের ক্যানসার তার মধ্যে অন্যতম। সাম্প্রতিকতম গবেষণা তেমনটাই জানাচ্ছে। জাপানের গবেষকরা এই গবেষণাটির মূল কাণ্ডারি।

Advertisement

গবেষণায় উঠে এসছে, প্রতি দিন ১০ গ্রাম করে নুন খেলে পেটের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়তে পারে। ইঁদুরের উপর এই গবেষণাটি করা হয়েছিল। ইঁদুরকে প্রতি দিন ১০ গ্রাম মতো করে নুন খাওয়ানো হয়েছিল। এবং বেশ কিছু মাস পরে ওই ইঁদুরের পাকস্থলীতে ক্যানসার ধরা পড়ে। একই রকম ভাবে আমেরিকান ইনস্টিটিউট অফ ক্যানসার রিসার্চ-এর গবেষকদের গবেষণাতেও একই জিনিস প্রমাণিত হয়। আবার একই রকম ভাবে চিনের গবেষকরা নিশ্চিত যে, দৈনিক নুন খাওয়ার প্রবণতা পাকস্থলীর ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।

এমনিতে কোনও রান্নায় ৪-৬ গ্রামের বেশি নুন ব্যবহার করা হয় না। এর চেয়ে বেশি নুন দিলে খাবারের স্বাদ বদলে যাবে। প্রতি দিন যদি দুটো থেকে তিনটি পদও থাকে, তা হলেও ১০ গ্রামের বেশি নুন শরীরে প্রবেশ করে। তবে শুধু যে রান্না করা খাবারে নুন থাকে, তা একেবারেই নয়। আচার, চিপ্‌স, প্রক্রিয়াজাত মাংসে নুনের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি। এই খাবারগুলি খেলে শরীরে নুনের পরিমাণ বাড়তে থাকে।

Is Excessive Salt the Cause For Stomach Cancer.

প্রতি দিন ১০ গ্রাম করে নুন খেলে পেটের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়তে পারে। ছবি: সংগৃহীত।

অত্যধিক নুন পেটের আস্তরণকে ধ্বংস করে, যা গ্যাস্ট্রিক মিউকোসা নামেই পরিচিত। দ্বিতীয়ত, অতিরিক্ত নুন পাকস্থলীতে ব্যাক্টেরিয়ার জন্ম দেয়। এই ব্যাক্টেরিয়া পেটের ক্যানসারের ঝুঁকি দ্বিগুণ করে। তাই রান্নায় নুন কম দেওয়ার পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত খাবারও কম খেতে হবে। তাই রোজ নুন খাওয়ার পরিমাণ ৬ গ্রামের নীচে রাখাই শ্রেয়। এতে শুধু ক্যানসারই নয়, হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমে।

Advertisement
আরও পড়ুন