শীতে শরবত খেলে কী সমস্যা হতে পারে? ছবি: সংগৃহীত।
শীতকাল মানেই নানা রোগবালাইয়ের ঝুঁকি। সর্দিকাশি, জ্বর, সংক্রমণ জাতীয় অন্য সমস্যা— ঠান্ডায় রোগের অন্ত নেই। তা ছাড়া এই মরসুমে আবার প্রতিরোধ ক্ষমতাও খানিকটা কমে যায়। ফলে রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি হারায় শরীর। সেই সুযোগে নানা অসুস্থতা জাঁকিয়ে বসে শরীরে। শীতকালীন রোগের সঙ্গে লড়াই করতে চাই প্রতিরোধ শক্তি। তার জন্য শীতে বেশি করে শাকসব্জি, ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। অনেকেই ফল, বিভিন্ন শাকসব্জি দিয়ে শরবত বানিয়ে নেন। সেগুলিই আস্ত ফল কিংবা রান্না করা সব্জি ছাড়াও রস তৈরি করে খাওয়ার চলও আছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ঠান্ডায় কোনও শরবতই শরীরের জন্য ভাল নয়।
তবু বাড়িতে তৈরি করা শরবতে ঝুঁকি কম। কিন্তু দোকান থেকে কিনে আনা যে কোনও পানীয়েই শর্করা থাকে ভরপুর পরিমাণে। এই চিনি রক্তে মিশে শরীরের অন্দরে নানা জটিলতার সৃষ্টি করে। সেই সঙ্গে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও একেবারে ঝেড়ে ফেলা যায় না। যাঁদের কিছু খেলেই ওজন বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা আছে, বাজারচলতি শরবত তাঁদের এড়িয়ে চলাই ভাল।
শীতে শরবত খাওয়ার আরও বেশ কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। গরম পানীয় হলে আলাদা কথা। কিন্তু সব্জি কিংবা ফলের শরবত ঠান্ডা লাগার কারণ হতে পারে। এমনিতেই এই মরসুমে সর্দিকাশি, ঠান্ডা লাগার সমস্যা পিছু ছাড়ে না। তার উপর শরবত খেলে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। শক্ত খাবারের চেয়ে তরল খাবার অনেক বেশি সহজপাচ্য। এ কথা ঠিক। কিন্তু সব্জি, ফলের শরবতের ক্ষেত্রে এই কথা কিন্তু প্রযোজ্য নয়। শরবত হজম করাও অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। শীতে শরীরচর্চা অভ্যাস একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। ফলে শরবত খেয়ে সুস্থ থাকার চেয়ে উল্টে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তবে কিছু শরবত সত্যিই স্বাস্থ্যকর। শরীরের যত্ন নেয়। সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। শীতে কোন পানীয়গুলি খেলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়?
কমলালেবুর রস
কমলালেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি, মিনারেলস, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এই প্রতিটি উপাদান প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে। সর্দিকাশি থেকে দূরে রাখে। প্রদাহজনিত সমস্যার অবসান ঘটায় এবং সেই সঙ্গে হার্টের রোগের ঝুঁকিও কমায়।
এ, বি, সি পানীয়
আপেল, বিট, এবং গাজর দিয়ে তৈরি এই পানীয় শরীর ভিতর থেকে তরতাজা এবং সতেজ রাখে। এই পানীয়ে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ফোলেট। যেগুলি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে, সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।
ক্র্যানবেরি শরবত
ক্র্যানবেরি শরবতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা হজমে সাহায্য করে। এ ছাড়াও প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করতে ক্র্যানবেরির জুড়ি মেলা ভার। তা ছাড়া শরীরের যাবতীয় টক্সিন বার করে দিতেও ক্র্যানবেরি উপকারী।