হবু মা কি ডায়াবিটিক? ছবি: সংগৃহীত।
সন্তানধারণের কয়েক মাস পর থেকে ‘খাই খাই’ ভাবটা বেড়ে গিয়েছে। মধ্যরাতে আইসক্রিম, চকোলেট কিংবা ফিরনি খাওয়ার বায়না জুড়ছেন। আগত নতুন অতিথির কথা ভেবে নানা রকম খাবারের জোগান দিয়ে চলেছেন সকলে। ফ্রিজে রাবড়ি থাকলে, সকলের অগোচরে তা-ও শেষ করে ফেলছেন। যার ফলে ওজন বাড়ছে। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস যে হবু মায়েদের শুধু ওজন বাড়িয়ে দেয় তা-ই নয়। পাশাপাশি বাড়তে থাকে রক্তে শর্করার পরিমাণও। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় শর্করা বেড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। প্রসবের পর তা নিজে থেকেই আবার স্বাভাবিক মাত্রায় চলেও আসে। কিন্তু গর্ভাবস্থায় যদি শর্করার মাত্রা হাতের বাইরে চলে যায়, সে ক্ষেত্রে গর্ভস্থ ভ্রূণের কিন্তু ক্ষতি হতে পারে। প্রসবের সময়েও মায়েদের শারীরিক জটিলতাও বেড়ে যেতে পারে। সদ্যোজাতদের কী ধরনের সমস্যা হতে পারে?
১) অতিরিক্ত ওজন
হবু মায়ের রক্তে শর্করা বেশি থাকলে, ভ্রূণের ওজন অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যেতে পারে। যা প্রসবের সময়ে মা এবং সন্তানের শারীরিক জটিলতা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
২) সময়ের আগে প্রসব
নির্ধারিত সময়ের আগে প্রসব করার নানাবিধ কারণের মধ্যে এটিও একটি কারণ। হবু মায়েদের রক্তে শর্করা বেশি থাকায় গর্ভস্থ ভ্রূণের বেড়ে ওঠাতেও নানা রকম জটিলতা দেখা দিতে পারে।
৩) শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা
নির্ধারিত সময়ের আগে প্রসব করলে সদ্যোজাতের শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। যা পরবর্তীতে বড় কোনও রোগের কারণও হতে পারে।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখার কৌশলগুলি কী কী?
১) আর্দ্রতা বজায় রাখতে হবে
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় শরীর নানা রকম পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায়। কখন কী বদল ঘটে তা সব সময়ে সাধারণ মানুষের চোখে পড়ে না। তবে যাই হোক না কেন চিকিৎসকেরা বলছেন প্রাথমিক ভাবে সব হবু মায়েদের একটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। তা হল পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া। শরীরকে কোনও ভাবেই ডিহাইড্রেট্রেড হতে দেওয়া যাবে না।
২) নিয়মিত শর্করা পরীক্ষা
রক্তে শর্করা ওঠা-নামা করছে কি না, তা জানতে গেলে বাড়িতে নিয়মিত পরীক্ষা করাতে হবে। ইনসুলিন হরমোন বাড়ছে না কমছে— সেই বুঝে ওষুধ এবং খাওয়াদাওয়া করতে হবে। প্রয়োজনে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৩) সঠিক সময়ে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া
রক্তে শর্করা অনেকটাই নির্ভর করে খাবার এবং সময়ের উপর। পুষ্টিবিদের পরামর্শ মতো নিয়ম মেনে, পুষ্টিকর খাবার খেলে রক্তে বাড়তি শর্করা বশে রাখা সম্ভব।