—প্রতীকী ছবি।
রানাঘাটে নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তের সাত বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। মঙ্গলবার রানাঘাট আদালতে এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল। বুধবার রায় ঘোষণা করা হল। নির্যাতিতা এবং তার পরিবার বর্তমানে বাংলাদেশে থাকে। সেখান থেকেই ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে নির্যাতিতা সাক্ষ্য দিয়েছিল। তার ভিত্তিতে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।
২০২০ সালের ২০ জুন রানাঘাটের একটি গ্রামে ১০ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। রানাঘাট মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল নির্যাতিতার পরিবার। এখন তার বয়স ১৪ বছর। ঘটনার কিছু দিনের মধ্যে সপরিবার দেশ ছাড়ে তারা। বাংলাদেশে চলে যায়। এর ফলে তদন্তে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। অভিযোগ, ধর্ষণের ঘটনার পর থেকে লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল পরিবারটিকে। তাই দেশ ছাড়তে তারা বাধ্য হয়।
এই ঘটনায় ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু নির্যাতিতা বাংলাদেশে চলে যাওয়ায় মামলার নিষ্পত্তি হতে দেরি হচ্ছিল। পরে রানাঘাট জেলা পুলিশের উদ্যোগে বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাদের সহযোগিতায় ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় নাবালিকার। তার পরিবারের বয়ানও ওই ভাবেই রেকর্ড করা হয়।
বুধবার রানাঘাট আদালতের নির্দেশ, অভিযুক্তকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। সঙ্গে দিতে হবে ১০ হাজার টাকা জরিমানা। অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালতের বিচারক সৌমেন গুপ্তা এই নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন অভিযুক্তের আইনজীবী।