ছবি- সংগৃহীত
ঠান্ডা পড়তে না পড়তেই ওজন ঝরানোর লক্ষ্য নিয়ে পাড়ার জিমে ভর্তি হয়ে গিয়েছেন। প্রতি দিন যাওয়া আসার পথে দেখা হয় ওই জিমের প্রশিক্ষকের সঙ্গে। তাই ভর্তি হওয়ার সময় ‘ফর্ম’-এ নির্দিষ্ট ব্যক্তির শরীর সম্পর্কে চিকিৎসকের মতামত লেখার জায়গা থাকলেও তা আর করে ওঠা হয়নি। অনেকেই লেখেন না। সকলেই যে খুব সমস্যায় পড়েন এমনও নয়। তবে, ইদানীং শরীরচর্চা করাকালীন অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছেন প্রশিক্ষক থেকে জিমের সদস্য সকলেই।
চিকিৎসকদের মতে, শুধু জিম নয়, যে কোনও ধরনের শরীরচর্চা করার আগে হৃদ্যন্ত্রের বেশ কিছু পরীক্ষা করে নেওয়া জরুরি। অনেকেই মনে করেন, বয়স হলে সমস্যা বাড়ে তাই কমবয়সিদের এত কিছু পরীক্ষা না করালেও চলবে। এই ধারণাও কিন্তু ভিত্তিহীন। শরীরচর্চা করার সময় দিন দিন বাড়তে থাকা ক্যালশিয়ামজাত ‘প্লাক’ আচমকা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। ওই ‘প্লাক’গুলি হৃদ্যন্ত্রে রক্ত সরবরাহকারী ধমনীগুলির পথ ক্রমশ সরু করে দেয়। ফলে রক্ত সঞ্চালন বাধাপ্রাপ্ত হয়। এই সময় শরীরচর্চা করলে, হাঁটলে, এমনকি ভারী কোনও কাজ করলেও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ ছাড়াও যদি পরিবারের কারও এমন ভাবে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ইতিহাস থাকে, সে ক্ষেত্রেও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
জিমে ভর্তি হওয়ার আগে কোন কোন পরীক্ষা করা জরুরি?
১) ইসিজি
২) টিএমটি
৩) রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা
৪) রক্তচাপ এবং শর্করার মাত্রা
৫) করোনারি ক্যালশিয়াম স্ক্যান