বকেয়া মেটানোর দাবি জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে চটকল মালিকদের সংগঠন আইজেএমএ। —ফাইল চিত্র।
এ বার চটের বস্তার দাম সংশোধনের জন্য নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করেছে কেন্দ্র। চটকল মালিকদের অভিযোগ, এতে বস্তার দাম ঠিক কতটা বেড়েছে, তা নিয়ে ধন্দ থাকছে। কী পদ্ধতিতে দর স্থির হয়েছে, তা-ও জানানো হয়নি। তাঁদের দাবি, ২০১৬ থেকে ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সংশোধিত দর বাবদ বকেয়াও এখনও মেটানো হয়নি। এই অবস্থায় দাম সংশোধনের পদ্ধতি জানানো ও বকেয়া মেটানোর দাবি জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে চটকল মালিকদের সংগঠন আইজেএমএ।
যে দাম ধার্য করা হয়েছে, তাতে চটকল মালিকরা লগ্নির কত শতাংশ রিটার্ন হিসাবে পাবেন বা দাম কতটা বাড়বে, তা নিয়ে মতভেদ তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। কেন্দ্রের এক কর্তার দাবি, মালিকরা যে টাকা ঢালবেন, তার ৮.১৯% রিটার্ন পাবেন। এ দিকে জুট কমিশনার জানিয়েছেন, দাম বৃদ্ধি হবে ৬%-৮%। তবে আইজেএমএ-র মতে, দাম বৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৪%-৫%।
নভেম্বর থেকে বস্তার নতুন দাম পাচ্ছে চটকলগুলি। দাম বেড়েছে প্রায়
৮%। যা কার্যকর ধরা হয়েছে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে। অথচ দর ধার্যের দিন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত পুরনো ও নতুন দামের ফারাক বাবদ বকেয়া মেটানো হয়নি বলে অভিযোগ চটকল মালিকদের। আইজেএমএর প্রাক্তন চেয়ারম্যান সঞ্জয় কাজারিয়া বলেন, “হিসাব মতো এ বাবদ ১৫০০ কোটি টাকা পাওনা চট শিল্পের। সেটাই দাবি করে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছি।’’
এ বার টেরিফ কমিশনের সুপারিশ মতো চটের বস্তার দাম সংশোধন করা হয়েছে নতুন পদ্ধতিতে। কাজারিয়া জানান, খবর রয়েছে নানা বিষয়ের ভিত্তিতে ওই পদ্ধতি তৈরি করা হয়েছে। যার মধ্যে কাঁচা পাট ও বস্তা তৈরির (কনভার্শন) খরচ-সহ একাধিক
বিষয় রয়েছে। তাই যতক্ষণ না বিশদে পদ্ধতিটি জানছি, ততক্ষণ বোঝা কঠিন কতটা দাম বাড়ানো হল। সেটা জানাতে আবেদন করা হয়েছে কেন্দ্রকে।