থাইরয়েডে আক্রান্ত হলে নখেও কিছু পরিবর্তন দেখা যায়। ছবি: সংগৃহীত
আত্মীয় পরিজনদের মধ্যে অনেকেই থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগে থাকেন। পুরুষদের চেয়েও মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায় এই অসুখ। থাইরয়েড শ্বাসনালির সামনের দিকে অবস্থিত একটি গ্রন্থি। এই গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোন শরীরের বিভিন্ন কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। যেমন-বিপাক ক্রিয়া, বাচ্চাদের স্বাভাবিক ভাবে বেড়ে ওঠা, বুদ্ধির বিকাশ, বয়ঃসন্ধির লক্ষণ, মহিলাদের ক্ষেত্রে ঋতুচক্র, গর্ভধারণ। থাইরয়ে় হরমোন দু’প্রকার— টি-থ্রি এবং টি-ফোর। থাইরয়েডের সমস্যা মূলত দুই ধরনের— ১) হাইপারথাইরয়েডিজম: এ ক্ষেত্রে রক্তে থাইরয়েড নিঃসৃত হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। ২)হাইপোথাইরয়েডিজম: এ ক্ষেত্রে রক্তে থাইরয়েড নিঃসৃত হরমোনের পরিমাণ কমে যায়।
শরীরে থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দিলে অতিরিক্ত ক্লান্তি, ওজন বেড়ে যাওয়া, ঠান্ডা লেগে থাকা, চুল পড়ার মতো কিছু লক্ষণ ধরা পড়ে। এ ছাড়াও থাইরয়েডে আক্রান্ত হলে নখেও কিছু পরিবর্তন দেখা যায়। দীর্ঘ দিন ধরে নখের বৃদ্ধি না হলে এবং অল্পতেই নখ ভেঙে যাওয়ার প্রবণতা থাইরয়েডের অন্যতম লক্ষণ।
হাইপোথাইরয়েডিজমের কারণে শরীরের সব ক্রিয়াকলাপই ধীর হয়ে যায়। নখেও এর প্রভাব পড়ে। নখ দ্রুত ভেঙে যায়। নখের বৃদ্ধির হারও খুব কম। ‘আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব ডার্মাটোলজি অ্যাসোসিয়েশন’ অনুসারে, থাইরয়েডের ঘামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ঘাম কম হয়। থাইরয়েড হলে নখ, চুল, ত্বক বেশি শুষ্ক করে হয়ে পড়ে। ফলে তা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে।