বাহ্যিক ভাবে যেমন মুখের যত্নের প্রয়োজন, তেমন মুখের ভিতরের যত্ন নেওয়াও জরুরি। ছবি : সংগৃহীত
মিষ্টি খাওয়ার জন্য কোনও কালেই বাঙালির উপলক্ষের প্রয়োজন পড়ে না। তার পর এখন উৎসবের মরসুম। এক দিকে মিষ্টি প্রসাদের বাড়বাড়ন্ত, অন্য দিকে চকলেট, আইসক্রিমের হাতছানি। কোনটা ছাড়বেন আর কোনটা খাবেন, ভাবতে ভাবতেই সব পেটে চলে যাচ্ছে। কিন্তু খাওয়ার পর দাঁতের কতটা ক্ষতি হচ্ছে সে সম্পর্কে কোনও ধারণা আছে কি?
বাহ্যিক ভাবে যেমন মুখের যত্নের প্রয়োজন, তেমন মুখের ভিতরের যত্ন নেওয়াও জরুরি। শুধু মিষ্টি নয়, যে কোনও খাবার খাওয়ার পর মুখ ভাল করে পরিষ্কার না করলে সেখান থেকে মুখে সংক্রমণ হতে পারে।
মিষ্টি জাতীয় কোনও কিছু খাওয়ার পর, দাঁতে তার পাতলা আস্তরণ থেকে যায়। প্রাথমিক ভাবে সেটিই ব্যাক্টেরিয়ার আঁতুরঘর। দীর্ঘ দিন এই অভ্যাস চলতে থাকলে অচিরেই দাঁতের এনামেল নষ্ট নয়। দাঁতে পোকা ধরা, দাঁত ভেঙে যাওয়া, ঠান্ডা বা গরম খাবার খেলে দাঁত শিরশির করা, মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তা হলে কি চকলেট খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে?
দাঁত ভাল রেখেই, পছন্দের মিষ্টি-জাতীয় জিনিস বা চকলেট খাওয়া যায়। তার জন্য প্রতি দিন অবশ্যই কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
১) ভাল টুথব্রাশ
আপনি দাঁতের জন্য যে ব্রাশটি ব্যবহার করছেন, তা কত দিনের পুরনো? ব্রাশ খারাপ না হলেও তিন-চার মাস অন্তর, তা বাতিল করুন। প্রত্যেকের দাঁতের গড়ন আলাদা, তাই আপনার মুখের জন্য কোনটি ঠিক সেটা দেখে তবেই ব্রাশ কিনুন।
২) ফ্লস
দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায়, ফ্লস অত্যন্ত জরুরি। কারণ মিষ্টি খাওয়ার পর তার অংশ দুটি দাঁতের খাঁজে আটকে থাকতেই পারে। জল দিয়ে কুলকুচি করলেও তা অনেক সময় যেতে চায় না। তখন ফ্লসের সাহায্য নিতেই হবে।
৩) মুখ ধোয়া
মুখ ধোয়ার কোনও বিকল্প নেই। কোনও কিছু খাওয়ার পর প্রতি বার হালকা গরম জলে মুখ ধুলেই ভাল। তবে সব সময় মুখ ধোয়া সম্ভব না হলে, খাওয়ার পর জল খাওয়ার অভ্যাস করুন।
৪) সুগার-ফ্রি গাম
এখন বাজারে বিভিন্ন রকম চিউয়িং গাম কিনতে পাওয়া যায়। তবে, তা অবশ্যই চিনি ছাড়া হতে হবে। এই গাম মুখে রাখলে লালারসের জোগান বৃদ্ধি পাবে। ফলে দাঁতে চিনির কোনও স্তর আটকে থাকবে না।
৫) দাঁত তুলে ফেলুন
উপরের পদ্ধতিগুলি প্রয়োগ করার আগেই যদি দাঁতের অবস্থা খারাপ হয়, তা হলে ক্ষতিগ্রস্ত দাঁতটি তুলে ফেলুন। কারণ ওই দাঁতটি থেকেই পাশের ভাল দাঁতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে।