টানা কয়েক দিন শরীরচর্চা না করার ফলে গা-হাত-পা ভারী হয়ে যাওয়ার একটা প্রবণতা থাকে। ছবি : সংগৃহীত
পুজোর আগে সবারই নিজেকে ছিপছিপে করে তোলার আলাদা তাগিদ থাকে। তাই জোর করে জিমে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাম ঝরিয়েছেন। এক মাস আগে থেকে কড়া ডায়েট মেনেও চলেছেন। কিন্তু পুজোর কয়েক দিন বেজায় অনিয়ম হয়েছে। যেটুকু শরীরচর্চা করতেন, এই কটা দিন তা-ও বন্ধ। কিন্তু এ বছরের মতো উৎসব তো শেষ। কাজকর্মে যেটুকু বিরতি পড়েছিল, তা-ও আবার শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই ইচ্ছে না থাকলেও একটু একটু করে আমাদের ফিরতেই হবে পুরনো রুটিনে।
টানা কয়েক দিন একেবারেই শরীরচর্চা না করার ফলে গা-হাত-পা ভারী হয়ে যাওয়ার একটা প্রবণতা থাকে। একেবারেই শরীর নড়াতে ইচ্ছে করে না। আপনার শরীরের খাটার ক্ষমতা কতটা, তা মাংসপেশিও ভুলতে শুরু করে। তাই এত দিনের অনভ্যাসের পর প্রথমেই জিমে না গিয়ে বাড়িতেই একটু করে শরীরচর্চা করুন। শরীরকে আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে গেলে, প্রতি দিন তাকে একটু একটু করে বোঝাতে শুরু করুন, তার কর্মক্ষমতা কতটা।
জিমে যাওয়ার আগে বাড়িতে কী ভাবে নিজেকে প্রস্তুত করবেন?
১) প্রথমে দুটো হাত, মাথার উপর সোজা ভাবে তুলে ধরুন। হাত ভাঁজ করে, ডান হাত দিয়ে বাঁ হাত এবং বাঁ হাত দিয়ে ডান হাত টেনে ধরুন। এমন ভাবে ধরবেন যেন বাহুমূলে টান অনুভূত হয়। এই ভাবে পাঁচ বার করুন।
২) সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে, কোমরের পেশি থেকে সামনের দিকে ঝুঁকে পা হাঁটুতে ঠেকাতে চেষ্টা করুন। যতটুকু পারেন, ততটুকুই করবেন। জোর করে করবেন না। রোজ একটু একটু করে চেষ্টা করতে হবে।
৩) শরীরচর্চা করার জন্য বিশেষ ধরনের বেল্ট পাওয়া যায়। কিনে নিতে হবে। আর না থাকলে বেশ শক্তপোক্ত দড়ি হলেও চলবে। এ বার ওই বেল্টটি জানলার গ্রিলের সঙ্গে আটকে নিজের কোমরেও বেঁধে নিন। জানলা থেকে এতটা দূরত্বে দাঁড়ান, যেন কোমরে টান লাগে। এ বার সামনের দিকে ঝুঁকে, হাঁটুতে মাথা ঠেকাতে চেষ্টা করুন।
৪) বেল্টবাঁধা অবস্থাতেই পাশ ফিরে দাঁড়ান। এতটা দূরত্বে দাঁড়ান, যেন কোমরে টান লাগে। কোমরের পেশি থেকে এক পাশে ঝোঁকার চেষ্টা করুন। একই ভাবে দু’দিকেই করবেন।
৫) প্রথমে মাটিতে পা ছড়িয়ে বসে পড়ুন। এ বার হাঁটু ভাঁজ করে, পেটের কাছে টেনে নিয়ে আসুন। দুটি পায়ের পাতা একসঙ্গে জড়ো করে প্রণামের ভঙ্গিতে রাখুন। এ বার কোমর থেকে সামনের দিকে ঝুঁকে, মাথা এবং দুটি হাত মাটিতে ঠেকাতে চেষ্টা করুন। যতটুকু পারেন ততটুকুই করবেন।