অ্যাডিনোভাইরাস ফের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে চিকিৎসকদের। ছবি: সংগৃহীত।
অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপ শিশুদের ওপর ধীরে ধীরে বাড়ছে। বিশেষ করে, পাঁচ বছর বয়সের নীচের শিশুদের বেশ ভাল রকম ভোগাচ্ছে এই ভাইরাস, এমনটাই জানাচ্ছেন শহরের চিকিৎসকেরা। পেটের গণ্ডগোল নিয়ে ভর্তি পাঁচ বছরের নীচে শিশুদের মধ্যে অনেকেই অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত বলে দাবি তাঁদের। বায়ুবাহিত এই ভাইরাসটি মূলত শ্বাসযন্ত্র, স্নায়ুতন্ত্র এবং মূত্রনালির ক্ষতি করে।
চিকিৎসকদের মতে, অ্যাডিনোভাইরাসের চরিত্র ঠিক কোভিডের মতোই। হাঁচি, কাশির মাধ্যমে কিংবা রোগীর ছোঁয়া কোনও জিনিসের সংস্পর্শে এলেই এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ঠিক যেমনটা কোভিডের ক্ষেত্রে হয়। সাধারণত আক্রান্ত হওয়ার দু’দিন থেকে দু’সপ্তাহের মধ্যেই শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। এই ভাইরাসের আক্রমণ শরীরে টের পেলেই এতটুকু সময় নষ্ট করা উচিত নয়। যত তাড়তাড়ি সম্ভব চিকিৎসা শুরু করার পক্ষপাতী বিশেষজ্ঞেরা। তাই এই মরসুমে শিশুদের জ্বর হলে হালকা ভাবে না নেওয়াই ভাল। জেনে নিন, আর কোন কোন উপসর্গ দেখলে সতর্ক হবেন।
সাধারণ উপসর্গ কী?
১) ধুম জ্বর। চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক খেয়েও জ্বর না কমা।
২) তীব্র মাথা যন্ত্রণা, সারা শরীরে ব্যথা।
৩) চোখ লাল হয়ে যাওয়া।
৪) নাক দিয়ে কাঁচা জল পড়া।
৫) গলায় তীব্র ব্যথা, ঢোক গিলতে সমস্যা। এমনকি, গলার স্বর বদলে যাওয়া।
৬) শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি দ্রুত হয়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্টের সমস্যা।
৭) জ্বরের সঙ্গে ডায়রিয়ার মতো উপসর্গ দেখলেও সতর্ক হতে হবে। সঙ্গে পেটে ব্যথা হলেও সাবধান।
অ্যাডিনোভাইরাসের আক্রমণ থেকে সন্তানকে সুরক্ষিত রাখবেন কী করে?
১) জনবহুল এলাকায় গেলে ভিড়ের থেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখুন শিশুকে। শপিং মল, বাজারে প্রয়োজন না হলে ওদের নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
২) প্রয়োজন হলে আবার মাস্ক ব্যবহারে জোর দিন।
৩) খাওয়ার আগে এবং পরে ভাল করে হাত ধোয়ার অভ্যাস করান।
৪) মল-মূত্রত্যাগ করার পরে ভাল করে পরিষ্কার করছে কি না, খেয়াল রাখুন।
৫) জ্বর-সর্দি হলে অন্যদের থেকে আলাদা রাখার চেষ্টা করুন।
৬) আক্রান্ত শিশুদের ব্যবহারের জিনিসপত্রও আলাদা করে রাখুন।
৭) এই রোগ কিন্তু ছোঁয়াচে, তাই যত দিন না পর্যন্ত সুস্থ হচ্ছে, তত দিন স্কুলে না পাঠানোই ভাল।