Winter Eye Problems

ঠান্ডা লেগে চোখ ফুলে জ্বালা, জল পড়ছে অনবরত, শীতে সংক্রমণ থেকে চোখ বাঁচাতে কী করবেন?

ঠান্ডার সময়ে কনজাঙ্কটিভাইটিসের সমস্যাও ভোগায়। সংক্রমণের কারণেও চোখ কড়কড় করে, চোখ থেকে জল পড়তে থাকে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:৫৯
How to prevent winter eye infection, here are the tips

শীতের সময়ে চোখের সংক্রমণ বাড়ে, কী ভাবে যত্ন নেবেন? ফাইল চিত্র।

শীতের দিনে চোখে ঠান্ডা লেগে যায় চট করে। তার পর চোখে জ্বালা, চোখ ফুলে লাল হয়ে যাওয়া, অনবরত জল পড়তে থাকে। ঠান্ডার সময়ে কনজাঙ্কটিভাইটিসের সমস্যাও ভোগায়। সংক্রমণের কারণেও চোখ কড়কড় করে, চোখ থেকে জল পড়তে থাকে। তাই সেই সময়ে চোখের একটু বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।

Advertisement

শীতের দিনে বাতাসে দূষিত কণার পরিমাণ বেড়ে যায়। ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া, ক্ষতিকর ছত্রাকদের চোখরাঙানিতেই চোখের মণির চারপাশে লাল রং ধরে। সেই সঙ্গে অনবরত জল পড়া, জ্বালা-যন্ত্রণা, পিচুটি, চুলকানি— সব মিলিয়ে বড় কষ্টকর ব্যাপার! চক্ষু চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বাতাসের জলীয় কণাকে ভর করে ভেসে বেড়ায় অনেক ভাইরাস, যার মধ্যে শক্তিশালী অ্যাডিনো ভাইরাস চোখে সংক্রমণ ঘটায়। কর্নিয়ায় ছোট ছোট দানা তৈরি হয়। যার ফলে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়, চোখ দিয়ে অনবরত জল পড়তে থাকে। তা ছাড়া ড্রাই আইজ়ের সমস্যাও ভোগায়।

কী ভাবে যত্ন নেবেন চোখের?

প্রথমত বাইরে বেরোলে সানগ্লাস ব্যবহার করুন। এমন রোদচশমা বেছে নিন যাতে চোখের পাশ, বাইরের দিক ঢাকা থাকে। ধুলোবালি বাঁচিয়ে চলতে হবে।

খুব বেশি ভিড়ে না যাওয়াই ভাল। যদি মনে হয় চোখ কড়কড় করছে, চোখ থেকে আঠালো তরল বার হচ্ছে, তা হলে দেরি না করে চক্ষু চিকিৎসককে দেখাতে হবে।

চোখ জ্বালা করলেও বার বার হাত দিয়ে কচলাবেন না। এতে হাতের ময়লা চোখে গিয়ে ক্ষতি যেমন হয়, তেমনই চোখের রক্তজালিকা ছিঁড়ে গিয়ে বিপদ বাড়তে পারে।

চোখ ফুলে গিয়ে ব্যথা হলে গরম সেঁক দিন। তাপ লাগলে সেখানকার রক্তনালির প্রসারণ হবে, রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে। যদি রক্ত জমাট বেঁধে থাকে, তা হলে তা ছেড়ে যাবে। রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হলেই ফোলা ভাব কমে যাবে। যন্ত্রণাও অনেক কমবে।

ড্রাই আইজ়ের সমস্যা ভোগালে আই ড্রপ দিতে পারেন। তবে কী ধরনের আই ড্রপ চোখে দেবেন, তা চিকিৎসকের থেকে জেনে নিতে হবে।

একটানা মোবাইল, ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের পর্দায় চোখ রাখবেন না। চোখকে বিশ্রাম দিতেই হবে। সে ক্ষেত্রে মেনে চলতে পারেন ২০-২০-২০ নিয়ম। এই নিয়ম অনুসারে ২০ মিনিট একটানা পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকার পর অন্তত ২০ সেকেন্ড ২০ ফিট দূরত্বের কোনও বস্তুর দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। পাশাপাশি, বার বার চোখের পলক ফেলাও জরুরি।

পর্যাপ্ত জল খেতে হবে। শরীরে জলশূন্যতা দেখা দিলেই মুশকিল। জল খাওয়ার পাশাপাশি গরম স্যুপ, ডিটক্স পানীয় খেতে হবে নিয়ম মেনে। পাশাপাশি, ভিটামিন এ, সি, ই, জিঙ্ক, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড-সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসব্জি, মরসুমি ফল, মাছ খেতে হবে। ছোট মাছ চোখের জন্য খুবই উপকারী। ভিটামিন সি আছে এমন ফল খান বেশি করে। পেয়ারা, মুসম্বির রস খেতে পারেন।

নিজের তোয়ালে, বালিশ বা প্রসাধনী অন্য কারও সঙ্গে ভাগ করবেন না। বিশেষ করে অন্যের ব্যবহার করা কাজল, মাস্কারা, আইলাইনার ইত্যাদি প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহার করবেন না।

Advertisement
আরও পড়ুন