উৎসবের শেষপাতে মিষ্টিমুখের জন্য কী কী রাখবেন? ছবি: সংগৃহীত।
কালীপুজো হোক বা দীপাবলি, কোনও উৎসবই পেটপুজো ছাড়া জমে না। ভূরিভোজের জন্য রকমারি মেনু বাছাই করে ফেলেছেন। কিন্তু শেষপাতে কী রাখবেন ভেবেছেন কি?
শুরুটা না হয় লাড্ডু, কাজু বরফি বা সন্দেশ দিয়ে হল। কিন্তু শেষপাতে কী রাখবেন? উৎসব যখন, তখন চিরপরিচিত মিষ্টির থাকবেই। কিন্তু সেই মিষ্টি দিয়েই তৈরি করে ফেলা যায় রকমারি পদ।
গোলাপজাম এবং রাবড়ি
বাঙালিরা একে পান্তুয়া বলেন। কেউ বলেন, গোলাপজাম। যে নামেই তাকে ডাকা হোক না কেন, নরম, ভাজা মিষ্টির স্বাদ অনবদ্য। তবে উৎসব বলে কথা। শেষপাতের পদও অন্য রকম হওয়া দরকার। এই পান্তুয়া দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন ‘ডেজ়ার্ট’।
প্রথমেই মিষ্টিটি ছুরি দিয়ে চার ভাগ করে নিন। এ বার দোকান থেক কিনে আনা রাবড়ি ভাল করে নেড়েচেড়ে মসৃণ করে ফেলুন। একটি ছোট্ট শৌখিন কাচের গ্লাসে প্রথমে দিন মিষ্টির টুকরো। তার পর যোগ করুন রাবড়ি। পরের ধাপে দিতে পারে ফেটিয়ে নেওয়া ঘন ক্রিম। তার পর আবার মিষ্টি-রাবড়ি। সব শেষে ছড়িয়ে দিন পেস্তা কুচি। এটি দেখতে যতটা সুন্দর হবে, খেতেও ততটাই ভাল হবে।
মোতিচুর লাড্ডুর পারফেট
দীপাবলির মিষ্টি মানেই সেখানে থাকবে লাড্ডু। মোতিচুরের লাড্ডু বেশ জনপ্রিয়। তা দিয়েই বানিয়ে ফেলতে পারেন ভিন্ন স্বাদের পদ। একটি পাত্রে ক্রিম নিয়ে হুইস্কারের সাহায্যে ক্রমাগত ফেটিয়ে ঘন করে নিন। এর সঙ্গে দুধে ভেজানো কেশর বা জাফরান মিশিয়ে আরও এক দফা ফেটিয়ে নিন। একটি জায়গায় কয়েকটি মোতিচুড় লাড্ডু চামচ দিয়ে ভেঙে রাখুন।
এ বার একটি কাচের ছোট গ্লাসে প্রথমে দিন গুঁড়ো করে নেওয়া লাড্ডু। তার উপর দিন ক্রিম। আবার দিন লাড্ডু, তার উপর ক্রিম। উপর থেকে রকমারি ড্রাই ফ্রুটস কুচি ছড়িয়ে দিন।
গাজরের হালুয়া এবং আইসক্রিম
মিহি করে কুচোনো গাজর ঘি, চিনি, দুধ দিয়ে গাজরের হালুয়া রান্না করে নিন। হালুয়া একটু ঘন হবে। এক বার কাচের বাটিতে গাজরের হালুয়া দিয়ে উপর থেকে দিন পছন্দের আইসক্রিম। গাজরের হালুয়ার সঙ্গে ভ্যানিলা আইসক্রিমই বেশি ভাল লাগে। উপর থেকে ছড়িয়ে দিন চকোলেট সস এবং চকো চিপ্স। বিষয়টি খুব সহজ, কিন্তু উপস্থাপনের গুণে তা স্বাদে বৈচিত্র আনতে পারে।