অ্যাসিড রিফ্লাক্স হচ্ছে কেন? ছবি: সংগৃহীত।
সারা বছরই পেটের সমস্যা। বাড়ির সাধারণ খাবার খেয়েও গ্যাস, অম্বল ভোগায়। রাতে রুটি খাওয়ার পর এই সমস্যা যেন আরও বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছে যায়। যত ক্ষণ না খাদ্যনালির এই জ্বালা-পোড়া ভাব কমছে, তত ক্ষণ দুচোখে ঘুমও আসে না। একবার জোয়ান খেয়ে, এক বার বাঁদিকে কাত হয়ে শুয়ে, কোনও মতেই শান্তি পাওয়া যায় না। শেষমেশ ‘এনজাইম’ ওষুধের উপর ভরসা করতে হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই ধরনের সমস্যাকে বলা হয় ‘স্পোরাডিক অ্যাসিড রিফ্লাক্স’।
রাতে খাবার খাওয়ার পর গলা-বুক জ্বালা করা কিংবা চোঁয়া ঢেকুর ওঠার সমস্যা ঠেকাতে অনেকেই ‘অ্যান্টাসিড’ গোত্রের ওষুধ খেয়ে থাকেন। তবে, ওষুধ খাওয়ার আগে সমস্যার উৎস খুঁজে বার করা প্রয়োজন। যেমন— এমন কিছু খাবার এবং পানীয় থেকে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা বাড়তে পারে। অ্যালকোহল, ক্যাফিনজাতীয় পানীয়, মশলাদার খাবার, চকোলেট, টম্যাটো, চকোলেট খেলে গলা-বুক জ্বালা করতে পারে। আবার, মানসিক চাপ থেকেও অ্যাসিড রিফ্লাক্স হতে পারে।
এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখবেন কী করে?
চিকিৎসকেরা বলছেন, অ্যাসিড রিফ্লাক্স নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধের পাশাপাশি শোয়ার ভঙ্গিতেও পরিবর্তন আনতে হবে। মুখ, মাথা যেন পেটের থেকে সামান্য হলেও উঁচুতে থাকে। সে খেয়াল রাখতে হবে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত ২-৩ ঘণ্টা আগে খেয়ে নিতে হবে। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ধ্যান অভ্যাস করা যেতে পারে। বাড়াবাড়ি হলে তখন ওষুধ তো আছেই।