ওটস খাচ্ছেন মানেই নিশ্চিন্ত, এমন কিন্তু নয়। ছবি: সংগৃহীত
রোগা হওয়ার অসংখ্য উপায় রয়েছে। কেউ ডায়েট করে রোগা হতে চান, কেউ আবার ভরসা রাখেন শরীরচর্চায়। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলেন, রোগা হওয়ার জন্য ডায়েট এবং শরীরচর্চা, দুটো্রই প্রয়োজন। তবে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার সত্যিই কোনও বিকল্প নেই। ডায়েট করলেই হল না। রোজের ডায়েটে কী রাখছেন, সেটাও কিন্তু জরুরি। দ্রুত মেদ ঝরাবে— এমন খাবারের তালিকার উপরের দিকেই রয়েছে ওটস। রোগা হওয়ার পর্বে অনেকেরই প্রথম পছন্দ এই খাবারটি। ওটস নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর খাবার। রোগা হতে চাইলে চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখতে পারেন এর উপর। তবে ওটস খাওয়ারও কিন্তু একটা নিয়ম রয়েছে। অনেকেই এ ব্যাপারে ওয়াকিবহাল নন। ওটস খাচ্ছেন মানেই নিশ্চিন্ত, এমন কিন্তু নয়। সঠিক উপায়ে ওটস না খেলে হতে রোগা হওয়ার ইচ্ছা পূরণ না-ও হতে পারে।
ঠিক কী ভাবে ওটস খেলে উপকার পেতে পারেন?
১) অনেকেই ওটস হজম করতে পারেন না। সারা রাত ভিজিয়ে রেখে দিলে ওটসের মধ্যে উপস্থিত স্টার্চ জাতীয় পদার্থ ভেঙে যায় এবং প্রাকৃতিক ফাইটিক অ্যাসিডের মাত্রা কমে। ফলে শরীরে ওটসের পুষ্টিগুণ বেশি পরিমাণে শোষিত হয়। রান্না করা ওটসের তুলনায় ভিজিয়ে রেখে ওটস খেলে তা হজম করতে সুবিধা হয়।
২) শর্করাযুক্ত সব খাবারেই ‘রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ’ পাওয়া যায়। কিন্তু রান্না করা খাবারের পরিবর্তে ঠান্ডা স্টার্চযুক্ত খাবারে এটি ভরপুর মাত্রায় থাকে। ‘রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ’ হল এক প্রকার প্রাকৃতিক কার্বোহাইড্রেট, যা হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে, ওজনও কমায়। তাই রাতে ওটস ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে খেলে ওজন ঝরার প্রক্রিয়া তরান্বিত হবে।
৩) সকালে উঠে তাড়াহুড়োয় রান্না করার সময় থাকে না সব সময়। তাই বলে তো আর সকালে না খেয়ে থাকা যায় না! আলাদা করে জলখাবার বানাতে ইচ্ছে না করলে রাতে ভিজিয়ে রাখুন ওটস। সেটি দিয়েই বানিয়ে ফেলতে পারেন সুস্বাদু পদ। আপেল, কলা, আম কিংবা বিভিন্ন ধরনের বাদাম দিয়েই বানিয়ে ফেলুন জলখাবার। স্বাদ বাড়াতে মধুও ব্যবহার করতে পারেন। ওই সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন ওটস স্মুদিও।