সজনেপাতার নানা গুণ। ছবি: সংগৃহীত।
শীতের শেষের দিকে সংক্রমণজনিত নানা রোগ ঠেকিয়ে রাখতে সজনে ফুল খাওয়ার চল রয়েছে অনেক বাড়িতেই। শুক্তো, ঝোল কিংবা চচ্চড়িতে সজনে ডাঁটাও দেওয়া হয়। সজনের উপকারিতা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। বহু পুষ্টিবিদের কাছে এই ‘মোরিঙ্গা’ হল ‘সুপারফুড’। ইদানীং বাজারে প্যাকেটজাত সজনেপাতার গুঁড়ো বিভিন্ন খাবারে দেওয়ার চল হয়েছে। ক্যাপসুলের আকারেও দোকানে তা কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলা ছাড়া এই পাতা শরীরের আর কোন কাজে লাগে?
১) স্মৃতিশক্তি প্রখর করে
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সজনেপাতায় যে পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে, তা মস্তিষ্কের স্নায়ুর বয়সজনিত অবক্ষয়কে লাগাম পরিয়ে স্মৃতিশক্তিকে সতেজ রাখতে সক্ষম।
২) পুষ্টিগুণে ভরপুর
ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, জিঙ্কের মতো খনিজ, প্রয়োজনীয় নানা রকম ভিটামিন, প্রোটিন রয়েছে সজনেপাতায়। তাই এক পাতার গুণেই শরীরের অনেক উপাদানের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব।
৩) তারুণ্য ধরে রাখে
সজনেপাতায় রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড এবং কোয়ারসেটিন-এর মতো উপাদান। এই সমস্ত উপাদান ফ্রি র্যাডিক্যাল, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৪) প্রদাহ কমায়
সজনেপাতা, ডাঁটা এবং ফুলে আইসোথিয়োকায়ানেট নামক একটি উপাদান রয়েছে। যা প্রদাহজনিত সমস্যা নির্মূল করতে সাহায্য করে।
৫) হার্ট ভাল রাখে
উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে সজনেপাতা। কারণ, এই পাতার মধ্যে পটাশিয়াম রয়েছে যথেষ্ট মাত্রায়। তা ছাড়া এই পাতায় যথেষ্ট পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি যৌগ থাকায় তা সামগ্রিক ভাবে হার্ট ভাল রাখতে সাহায্য করে।
৬) শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সজনেপাতা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। তাই ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য এই পাতা নিঃসন্দেহে উপকারী। তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
৭) হজমে সহায়ক
সজনেপাতায় যে পরিমাণ ফাইবার রয়েছে, তা অন্ত্র ভাল রাখতে সাহায্য করে। যাঁদের হজমের বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য এই পাতা উপকারী।