পেশাগত কারণেও অনেককে সারা রাত জেগে থাকতে হয়। ছবি: সংগৃহীত
‘রাত জাগা তারা’ সকলে ইচ্ছা করে হন না। পেশাগত কারণেও অনেককে সারা রাত জেগে থাকতে হয়। বিশেষ করে স্বাস্থ্যকর্মী বা বহুজাতিক সংস্থায় যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের নিয়মিত রাত জাগতে হয়। এক-দু’দিন রাত করে ঘুমোনো আর দিনের পর দিন টানা রাত জাগার মধ্যে বিস্তর ফারাক আছে। দীর্ঘ সময়ে এই রুটিনে চললে, তাঁর প্রভাব স্বাস্থ্যের উপর পড়বেই। তাই খাওয়া-দাওয়ার উপর বিশেষ নজর দিতে হবে।
একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, রাত জেগে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের মাঝরাতে রক্তে শর্করার মাত্রা ইঠাৎ বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। ডায়াবিটিস বা হৃদ্রোগের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। নিয়মিত রাত জেগে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের সাধারণত ওজন বেড়ে যাওয়ারও প্রবণতা তৈরি হয়। ঘুম কম হলে ওজন বাড়াটা যে খুব একটা অস্বাভাবিক বিষয় নয়, তা বহু গবেষণায় প্রমাণিত। তবে যাঁদের রাত জেগে কাজ করাটা বাধ্যতামূলক, তাঁদেরও সুস্থ থাকার অনেক উপায় রয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম এবং নিয়ম মেনে খাওয়া-দাওয়া করলে শরীরও থাকবে সুস্থ। শুধু কিছু নিয়ম মেনে চলা আবশ্যিক। সেগুলি কী, জেনে নিন।
১। রাতের খাবার দিয়ে ‘দিন’ শুরু করুন
যদি রাত জেগে কাজ করাটাই আপনার নিয়মিত রুটিন হয়, তা হলে সন্ধেবেলা ঘুম থেকে উঠেই প্রথমেই রাতের ভারী খাবার খেয়ে নিন। ৭:৩০টা থেকে ৮টার মধ্যে রাতের খাওয়া সেরে ফেলুন। তার বেশি দেরি করবেন না।
২। রাতে খুব ভারী খাবার খাবেন না
অনেকেরই রাতে ভারী খাবার খাওয়ার পর ঘুম পায়। সে ক্ষেত্রে রাতের খাবার হাল্কা রাখাই ভাল। ভাত এবং অনেকটা তরকারি খেতে পারেন। কিংবা গ্রিল করা চিকেন চলতে পারে। এমন খাবার খান, যাতে বেশি পরিমাণে প্রোটিন এবং ফাইবার রয়েছে। কারণ প্রোটিন বা ফাইবার বেশি থাকলে পেট অনেক ক্ষণ ভর্তি থাকে।
৩। এক চামচ ঘি খান
রাত জেগে কাজ করলে শরীর শুকিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। আয়ুর্বেদিক মত বলে, কাজে বেরোনোর আগে এক চা চামচ ঘি খেতে পারলে শরীরের শুষ্কতা দূর হতে পারে।
৪। ভাজাভুজি খাবেন না
রাতে আমাদের হজমক্ষমতা সে ভাবে সক্রিয় থাকে না। তাই রাতে খুব বেশি ভাজাভুজি খেলে পেট ভার হবে। অম্বল হওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হবে।
৫। বাদাম-ড্রাই ফ্রুট সঙ্গে রাখুন
রাত জেগে কাজ করলে খিদে পাওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু উল্টোপাল্টা না খেয়ে নানা রকম বাদাম আর ড্রাই ফ্রুট খেয়ে পেট ভরাতে পারেন।
৬। ক্যাফিন কম খান
ঘুম পেলে ঘন ঘন ব্ল্যাক কফি খান অনেকেই। অনেকে ক্যাফিন দেওয়া নানা রকম পানীয়ও খেয়ে থাকেন। কিন্তু এগুলি শরীরের ক্ষতিই করে বেশি। তাই মাঝরাতে খুব বেশি কফি খাওয়া এড়িয়ে চলুন।