ডার্ক চকোলেট কতটা খাবেন? ছবি: সংগৃহীত।
চকোলেট খেতে ভালবাসেন। কিন্তু মোটা হয়ে যাওয়ার ভয়ে লোভনীয় এই খাবার এড়িয়ে চলেন। দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো ডার্ক চকোলেট খান। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, বিভিন্ন খনিজ, ফ্ল্যাভোনয়েড, পলিফেনলে সমৃদ্ধ ডার্ক চকোলেট খেলে শরীরের উপকারেই লাগে বলে মনে করেন অনেকে। এ ছাড়া, বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, উচ্চ রক্তচাপ বশে রাখতে, হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে, মস্তিষ্কের স্নায়ুর রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমিয়ে দিতে পারে ডার্ক চকোলেট। তাই স্বাস্থ্য সচেতনদের মধ্যে এই চকোলেটের জনপ্রিয়তা বেশি।
ডার্ক চকোলেটের মধ্যে রয়েছে আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম এবং কপারের মতো উপাদান। দেহের পেশির গঠন, কোষে অক্সিজেন সরবরাহের মতো গুরুত্বপূর্ণ শারীরবৃত্তীয় কাজ সঠিক ভাবে পরিচালনা করার জন্য এই খনিজগুলির প্রয়োজন। তা ছাড়াও ডার্ক চকোলেটের মধ্যে রয়েছে সহজপাচ্য ফাইবার। যা হজমশক্তি উন্নত করার পাশাপাশি রক্তে শর্করার ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে। এই ধরনের চকোলেটের মধ্যে রয়েছে ওলেইক অ্যাসিড এবং মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট। এই দু’টি উপাদান হার্টের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হঠাৎ মন খারাপের দাওয়াই এই ডার্ক চকোলেট এনডরফিন, সেরোটোনিন ক্ষরণের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। তাই বলে প্যাকেটের পর প্যাকেট ডার্ক চকোলেট খেয়ে গেলে কিন্তু লাভের চেয়ে ক্ষতির পরিমাণ বেশি।
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, দোকানে বিভিন্ন ধরনের ডার্ক চকোলেট কিনতে পাওয়া যায়। যে সব চকোলেটে কোকোর পরিমাণ ৭০ শতাংশ বা তার বেশি, সেগুলি খাওয়াই ভাল। কারণ, এই ধরনের চকোলেটের মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পরিমাণ বেশি এবং চিনি কম। শরীর ভাল রাখতে এই ধরনের ডার্ক চকোলেট রোজ এক বা দু’কিউব করে খাওয়া যেতেই পারে। তার চেয়ে বেশি খেতে পারেন কি না, তা নির্ভর করবে ওই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার উপর। ক্যাফিনজাতীয় খাবার বেশি খেলে অনেকের আবার পেটের সমস্যা হয়। সে বিষয়েও সতর্ক থাকা প্রয়োজন।