ছবি: প্রতীকী
শারীরবৃত্তীয় নানা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজন বিভিন্ন খনিজের। গুরুত্বপূর্ণ খনিজের তালিকায় ক্যালশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সোডিয়াম, পটাশিয়াম— বেশ জনপ্রিয় হলেও ম্যাগনেশিয়ামের ভূমিকা কিন্তু কম নয়। দেহের ভিতর প্রতি নিয়ত হয়ে চলা নানা রকম রাসায়নিক প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে এই ম্যাগনেশিয়াম। তাই নামে খুব একটা পরিচিত না হলেও এই খনিজটির অভাব কিন্তু শরীর নানা ভাবে বুঝিয়ে দেয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, অবসাদ, ক্লান্তির মতো সাধারণ কিছু বিষয়ের সঙ্গেও ম্যাগনেশিয়ামের যোগ থাকতে পারে। শরীরে এমন আর কোন কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন?
১) পেশিতে টান
এই ধরনের সমস্যাকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে চান না অনেকেই। সারা দিন জল খাওয়া কম হলে, পায়ের পেশিতে হঠাৎ করে টান লাগতে পারে। সেই সমস্যা কিন্তু সাময়িক। চিকিৎসকেরা বলছেন, এমন পেশিতে টান লাগার সমস্যা যদি নিয়মিত হয়, তা ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে।
২) অবসাদ এবং উদ্বেগ
তেমন কিছুই ঘটেনি। মন খারাপ হওয়ার কোনও কারণই খুঁজে পাচ্ছেন না। তবু মন খারাপ হচ্ছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই সমস্যার নেপথ্যেও রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম। স্নায়ুর কর্মকাণ্ড সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে ম্যাগনেশিয়াম। বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি হার্ভাডের একটি রিপোর্টেও একই কথা বলা হয়েছে।
৩) অনিয়ন্ত্রিত হৃদ্স্পন্দন
ঘড়ির কাটার মতো হৃদ্স্পন্দেরও একটা ছন্দ আছে। সুস্থ, স্বাভাবিক মানুষের হৃদ্যন্ত্র সেই ছন্দ মেনেই চলে। তবে রক্তে ম্যাগনেশিয়ামের মাত্রা কমে গেলে কারও হৃদ্স্পন্দনের হার বেড়ে যেতে পারে। চিকিৎসা পরিভাষায় এই রোগ ‘অ্যারিদ্মিয়া’ নামে পরিচিত।
৪) ভঙ্গুর হাড়
অনেকেই মনে করেন, হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি দু’টি উপাদান হল ক্যালশিয়াম এবং ভিটামিন ডি। তবে বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, এই দু’টি উপাদানের পাশাপাশি হাড়ের যত্নে ম্যাগনেশিয়াম কিন্তু যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত ম্যাগনেশিয়াম না থাকলে অস্টিয়োপোরোসিসের সমস্যাও বেড়ে যেতে পারে।
৫) ক্লান্তি
খাটাখাটনি করলে ক্লান্ত লাগা স্বাভাবিক। কিন্তু ঘুম থেকে ওঠার পরও যদি ঘুম পায়, ক্লান্ত লাগে, তা সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে খুব একটা স্বাভাবিক নয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই ক্লান্তির কারণও হতে পারে ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি।