রাতের খাওয়া সেরে ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস মোটেই ভাল নয়। প্রতীকী ছবি।
শরীরে যত্ন নিতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, শুধু খাবার খেলেই হবে না, কখন খাচ্ছেন সেই সময়টাও অত্যন্ত জরুরি। খাবার খাওয়ার সময়ের উপর নির্ভর করে শরীরের ভালমন্দ। সারা দিনে ঘড়ি ধরে খাবার খাওয়ার এই নিয়ম মানা না গেলেও, রাতে কিন্তু সময়মতো খেয়ে নেওয়া জরুরি। রাতের খাওয়া সেরে ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস মোটেই ভাল নয়।
চিকিৎসকদের মতে, ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত ২-৩ ঘণ্টা আগে নৈশভোজ সেরে নেওয়া জরুরি। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাতে সঠিক সময় খেয়ে নেওয়ার কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু অনেকেই বুঝতে পারেন না, আসলে রাতের খাবার খাওয়ার সঠিক সময় কোনটি। অনেকেই রাত করে খেতে বসেন। ফলে খেয়েই ঘুমিয়ে পড়তে হয়। এর ফলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তার চেয়ে খাওয়া শেষ করে একটু হাঁটাচলা করুন। খুব ভাল হয় যদি রাত ৮টার আগেই খেয়ে নিতে পারেন। কোন কারণগুলির জন্য রাত ৮টার আগে রাতের খাবার খেতে বলেন চিকিৎসকরা?
১) খুব রাতে খেলে অনেক খাবারই হজম হতে সমস্যা হয়। বদহজমের কারণে পেট ফুলে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। খাওয়াদাওয়া ৮-৮.৩০ টার মধ্যে সারলে শরীর ক্যালোরি খরচ করার অনেক বেশি সময় পায়। ফলে হজম ভাল হয়। আর হজমক্ষমতা বাড়লেই ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
২) বেশি রাত করে অত্যধিক তেল, মশলাদার খাবার খেলে বদহজম অবধারিত। আর সেই কারণে পেটে, বুকে জ্বালা, যন্ত্রণা হতে পারে। ফলে ঘুম হয় না ঠিকমতো। রাতে তাড়াতাড়ি খেয়ে নিলে ঘুমটাও ভাল হয়।
৩) ডায়াবিটিস, থাইরয়েড, পিসিওডি এবং হৃদ্রোগে ভুগছেন এমন রোগীদের রাতে হালকা খাওয়ার পাশাপাশি তাড়াতাড়ি খাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়। অনেকেই রাতে সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে অভ্যস্ত। ডাল, পাপড়, শাকসব্জি থেকে শুরু করে মাংস সব রান্নাতেই নুন ব্যবহার করা হয়। নুন শরীরে বেশি মাত্রায় গেলে তা জল ধরে রাখে। ফলে পেট ফুলে শরীরে অস্বস্তি হয়। উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিও বাড়ে। হার্টের সমস্যাও হতে পারে।