ভুঁড়ি বাড়ার অন্যতম কারণ কিন্তু ফ্যাটি লিভারও। প্রতীকী ছবি।
স্থূলতার হাত ধরে যে সব রোগ আমাদের ঘাড়ে শ্বাস ফেলে, তার মধ্যে অন্যতম ফ্যাটি লিভার। খাবার থেকে আগত মেদ লিভারে জমা হতে হতে এই সমস্যা আরও বড় আকার নেয়। চিকিৎসকদের মতে, আমাদের লিভার সাধারণত ৫ থেকে ৬ শতাংশ চর্বি শোষণ করতে পারে। এর চেয়ে বেশি চর্বি জমা হতে থাকলেই তা বিপজ্জনক। সময় মতো চিকিৎসা না করালে এই অসুখের হাত ধরে সিরোসিস অফ লিভারও দেখা দিতে পারে শরীরে।
ডায়াবিটিস, থাইরয়েড ইত্যাদি হরমোনজনিত নানা অসুখেও ফ্যাটি লিভারের প্রবণতা বাড়ে। প্রথম থেকে সতর্ক না হলে এই অসুখের জেরে লিভারের বড়সড় ক্ষতি হতে পারে। তাই আগাম সাবধান হন। জেনে নিন, কী কী উপসর্গ দেখলেই ফ্যাটি লিভার নিয়ে সচেতন হবেন।
১) শরীরে মেদ জমছে আর সামান্য কাজ করেই কি ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন? সামান্য পরিশ্রমেই যদি অতিরিক্ত ক্লান্তি আসে, তবে সাবধান হন। এটি ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ হতে পারে।
২) ভুঁড়ি বাড়তে শুরু করলেই সচেতন হন। যে কোনও বয়সেই ভুঁড়ি বাড়লে সচেতন হন। ভুঁড়ি বাড়ার অন্যতম কারণ কিন্তু ফ্যাটি লিভারও। তাই এমন হলে ফ্যাটি লিভার আছে কি না, তা পরীক্ষা করিয়ে নিন।
৩) ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ ভাল করে বেরোতে পারে না। তাই নজর রাখতে হবে প্রস্রাবের রং ও গন্ধের দিকে। শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী জল খাওয়ার পরেও একটানা প্রস্রাবের রং হলুদ হতে থাকলে ও তাতে অতিরিক্ত দুর্গন্ধ হলে ফ্যাটি লিভারের পরীক্ষা করান।
৪) ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ খিদে বেড়ে গেলে ও মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি আসক্তি বাড়লে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হতে পারে। হঠাৎ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হলেও সতর্ক থাকুন।
৫) বেশ কয়েক দিন ধরে তলপেটে অসহ্য যন্ত্রণা, বমি বমি ভাব কিন্তু ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ হতে পারে। এই ক্ষেত্রে সাধারণত পেটের ডান দিকে ব্যথা হয়।