ভালমন্দ খেয়েও ভুঁড়ি বাড়বে না কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
ফুচকা হোক কিংবা পাপড়িচাট, দইবড়া হোক বা শিঙাড়া— মুখরোচক খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করতে তেঁতুলের কোনও তুলনাই নেই। গৃহস্থ বাড়িতে তেঁতুলের ব্যবহার মানেই হয় তা কোনও ঘরোয়া কাজে, নয়তো রোজের রান্নার স্বাদ বাড়ানোর উপাদান হিসাবে। কিন্তু তেঁতুলের যে স্বাস্থ্যকর আরও কিছু দিক রয়েছে, সে খবর রাখেন কি? জেনে নিন রোজ তেঁতুল খেলে কী লাভ হয় শরীরের।
১) অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তেঁতুল খাওয়া বেশ উপকারী। তেঁতুলে থাকা ম্যালিক, টারটারিক অ্যাসিড অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। এই সময়ে হবু মায়েদের অনেকের ক্ষেত্রেই রক্তচাপ বেড়ে যায়। তেঁতুলের পটাশিয়াম এবং আয়রন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
২) পুজোর সময়ে খাওয়াদাওয়ায় বেনিয়মের কারণে কমবেশি অনেকেই বদহজমের সমস্যায় ভোগেন। এক কাপ জলে তেঁতুল ভিজিয়ে সামান্য নুন, চিনি বা গুড় মিশিয়ে খেলে বদহজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তেঁতুলে থাকা ডায়েটারি ফাইবার হজম করতে সাহায্য করে। গ্যাসের সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে তেঁতুল। তাই ইৎসবের মরসুমে পেট ভাল রাখতে তেঁতুলে ভরসা রাখতেই পারেন।
৩) তেঁতুলে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান পরোক্ষ উপায়ে রক্তের শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের মাত্রাও কম। তেঁতুলে উপস্থিত উৎসেচক শরীরে শর্করার শোষণ মাত্রা কমিয়ে দিয়ে শর্করা নিয়ন্ত্রণে অংশ নেয়। ফলে ডায়াবিটিসকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখে তেঁতুল। তেঁতুল রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
৪) দুর্গাপুজোর পরেই ধীরে ধীরে শীতের আমেজ পড়তে শুরু করবে। এমন মরসুমে ঠান্ডা লাগা এবং সর্দিকাশি থেকে রেহাই পেতে গরম জলে তেঁতুল আর গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আর অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান যেগুলি শারীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়।
৫) তেঁতুলে হাইড্রক্সিসাইট্রিক অ্যাসিড রয়েছে, যা শরীরে চর্বি জমতে দেয় না। এই অ্যাসিড সেরোটোনিন নিউরোট্রান্সমিটারের মাত্রা বাড়িয়ে খিদে কমায়। খাবারে রাশ টানলেই ওজন বাড়বে না। এ ক্ষেত্রে খাদ্যতালিকায় তেঁতুলের শরবত রাখতে পারেন। গরমের দিনে তেষ্টাও মিটবে আর সুস্বাস্থ্যও পাওয়া যাবে।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও ক্রনিক অসুখ থাকলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।