ইউরিক অ্যাসিড থাকলে কোন খাবারগুলি খাবেন না? ছবি: সংগৃহীত।
ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা ইদানীং বেড়েই চলেছে। বয়স বাড়লে তো বটেই, এমনকি কমবয়সিদের মধ্যেও এই সমস্যা জাঁকিয়ে বসছে। ডায়াবিটিস, আথ্রাইটিসের মতো ইউরিক অ্যাসিডও স্বাভাবিক জীবনযাপন বন্ধ করে দেয়। ইউরিক অ্যাসিড হল একটি যৌগ। শরীরে কতটা পরিমাণ ইউরিক অ্যাসিড থাকবে, তা নির্ভর করে খাদ্যতালিকায় প্রোটিনের পরিমাণ এবং বিপাকহার কেমন, তার উপর। চিকিৎসকেদের মতে, রক্তে এই অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে না পারলে ভবিষ্যতে বিস্তর রোগ জাঁকিয়ে বসতে পারে। ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে ঝুঁকি আরও দ্বিগুণ হয়। সুস্থ থাকতে তাই খাওয়াদাওয়া রাশ টানতে হবে। ইউরিক অ্যাসিড কমাতে কিছু খাবার নিয়ম করে খেতে হবে, তেমনই কিছু খাবার ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। উৎসবের মরসুমে ভূরিভোজের একটা পর্ব থাকে। তবে ইউরিক অ্যাসিড থাকলে কিছু খাবার না খাওয়াই ভাল।
প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার
ওজন কমানোর জন্য প্রোটিন উপকারী হলেও ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি। তাই প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় প্রোটিনের পরিমাণ কমান। সামুদ্রিক মাছ, মুরগির মাংসের বদলে বেশি করে খান ফল, সবুজ শাকসব্জি। নিয়ন্ত্রণে থাকবে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা।
তেঁতুল
অনেকেই হয়তো জানেন না, তেঁতুল বাড়িয়ে দিতে পারে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফল স্বাস্থ্যকর হলেও ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভোগা রোগীদের জন্য উপকারী নয়। প্রতি ১০০ গ্রাম তেঁতুলে ফ্রুকটোজের পরিমাণ রয়েছে ১২.৩১ গ্রাম। যা ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণে বাড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।
স্যাচুরেটেড ফ্যাট
স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে, এমন খাবার এড়িয়ে চলুন। এই ধরনের ফ্যাট ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের জন্য একে বারেই ভাল নয়। স্যাচুরেটেড ফ্যাট যত বেশি পরিমাণে শরীরে প্রবেশ করবে, ইউরিক অ্যাসিডের ব্যথা তত বৃদ্ধি পেতে থাকে। সুস্থ থাকতে রেড মিট, উচ্চ ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার পাতে রাখবেন না।
অ্যালকোহল
মদ্যপান করেন? ইউরিক অ্যাসিড থাকলে এখনই মদ্যপানের অভ্যাস ত্যাগ করা জরুরি। অতিরিক্ত অ্যালকোহল শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। সুস্থ থাকতে মদ্যপান এড়িয়ে চলাই ভাল। তবে উৎসব-উদ্যাপনে মদ্যপানের ইচ্ছা হলেও পরিমাণ যেন সীমিত হয়।