অনেক খাবার রয়েছে নিজের অজান্তেই ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
শরীরের যত্ন নিতে রোজের খাদ্যাভ্যাসে বদল আনার প্রবণতা অনেকের মধ্যেই রয়েছে। অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রভাবে স্থূলতা, কোলেস্টেরল, ডায়াবিটিস, ক্যানসারের মতো রোগের ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে। তাই অসুখ ঠেকাতে খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানছেন অনেকেই। কিন্তু অস্বাস্থ্যকর খাবার সরিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত যে খাবারগুলি ডায়েটে রাখছেন, আপনার অজান্তেই সেগুলিই কোনও ক্ষতি করছে না তো? স্বাস্থ্যকর বলে মনে হলেও এমন অনেক খাবার রয়েছে, যেগুলি নিজের অজান্তেই ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। এমন অনেক খাবার রয়েছে, যেগুলি শরীরের যত্ন নিচ্ছে বলে মনে হলেও, সেগুলি খেলে লাভের চেয়ে ক্ষতির পরিমাণ বেশি।
স্মুদি
সুস্থ থাকতে অনেকেই নানা ফল, দুধ দিয়ে বানানো স্মুদি ও শেক পছন্দ করেন। কিন্তু জানেন কি, ফ্যাট কম হলেও বাজারচলতি এই সব শেক ও স্মুদিতে অতিরিক্ত চিনি মেশানো থাকে, যা ডায়াবিটিসের ঝুঁকি বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট।
ড্রাই ফ্রুটস
প্যাকেটজাত ড্রাই ফ্রুটগুলিতে অতিরিক্ত নুন যেমন থাকে, তেমনই উচ্চমাত্রার ক্যালোরি সম্পন্ন এ সব ফল ওজন বাড়ায়। ডেকে আনে ডায়াবিটিস। এমনিতেই ড্রাই ফ্রুটসকে কৃত্রিম উপায়ে টাটকা ফলের চেয়ে বেশি মিষ্টি করা হয়, তাই স্বাদের কারণে বেশি খেয়ে ফেলার প্রবণতাও তৈরি হয়।
নরম পানীয়
ওজন বাড়ার ভয়ে সাধারণ নরম পানীয়ের জায়গায় বেছে নিচ্ছেন ডায়েট পানীয়। ভাবছেন, এতে হয়ত ওজনকে ঠেকিয়ে রাখা যাবে। কিন্তু জানেন কি, এই ডায়েট পানীয়ে অতিরিক্ত চিনি থাকায় তা রক্তে শর্করা বাড়ায়? ডায়েট পানীয় খেয়েও যদি ওজন বেড়ে যায়, তা অস্বাভাবিক নয়।
কৃত্রিম চিনি
এটি চিনির চেয়েও ক্ষতিকর। এর মূল উপাদান ‘অ্যাসপার্টেম’, যা ওজন বাড়ায়। আধুনিক গবেষণা তাই চিনি বিষয়টি থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেয়। রান্নায় মধু, গুড়, নারকেলের চিনি বা গুড়ের বাতাসা দিতে বলেন। চিনির বিকল্প হিসাবে এগুলি অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু সুইটনার বা কৃত্রিম চিনির অভ্যাসে মানসিক তৃপ্তি ছাড়া আর কোনও উপকার নেই।