মাঙ্কিপক্সের নানা উপসর্গ।
বিশ্ব জুড়ে ৭৫টি দেশে ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষ মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। ইতিমধ্যেই ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’-র তরফে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ নিয়ে গোটা বিশ্বে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। সমকামী পুরুষদের মধ্যেই এই সংক্রমণ বাড়ছে। সম্প্রতি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে নেটমাধ্যমে ছবি শেয়ার করেছেন সিলভার স্টিলি নামক একজন সমকামী প্রাপ্তবয়স্ক ছবির অভিনেতা। প্রায় দুই সপ্তাহে এই ভাইরাস সারা শরীরে কী প্রভাব ফেলেছে, তা ক্যামেরাবন্দি করে রেখেছেন তিনি। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি ভাগ করে নিয়েছেন সেই সব ছবি। ঠোঁটের নীচের অংশে বড় বড় ফোসকা! কী ভাবে সেইগুলি ছোট থেকে বড় ও গাঢ় রঙের হয়েছে সেই অভিজ্ঞতাই ভাগ করেছেন অভিনেতা। দেখতে যতটা ভয়ঙ্কর, ফোসকাগুলি ততটাই যন্ত্রণাদায়ক জানিয়েছেন তিনি।
ছবিগুলি শেয়ার করে অভিনেতা লিখেছেন, ‘মাঙ্কিপক্সের ভোলবদল! এই ভাইরাস শরীরে বাসা বাঁধলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উপসর্গগুলি কেমন পাল্টে যায় এই ছবিগুলির মাধ্যমে আমি তাই দেখাতে চেয়েছি। আমার উদ্দেশ্য কাউকে ভয় দেখানো নয়, বরং সকলকে এই বিষয় শিক্ষিত করে তোলা। সকলের ক্ষেত্রে একই রকম উপসর্গ দেখা যায় না। তবে চিকিৎসকদের মতে, অধিকাংশেরই শরীরে এমন উপসর্গ দেখা যায়। আমার এই সব ছবিগুলি মেডিকাল জার্নালেও ব্যবহার করা হবে।’
এই সব ছবির পরে অভিনেতা আরও একটি ছবি শেয়ার করেছেন। এই ছবিতে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। তিনি লিখেছেন, আমি কাল চিকিৎসককে দেখিয়েছি। তিনি বলেছেন আমি এখন একেবারে সুস্থ। আপনারা আমার ছবি শেয়ার করতেই পারেন। শব্দ শেয়ার করুন, ভাইরাস নয়।’ সিলভার আরও জানিয়েছেন, ‘এই প্রকার র্যাশ কেবল মুখেই নয় আমার সারা শরীরেই বেরিয়েছিল।’ একটি পার্টিতে যাওয়ার কয়েক দিন পরেই তাঁর শরীরে ব্রণর মতো ফোসকা দেখা দেয়। এক সপ্তাহের মাথায় তাঁর লসিকাবাহগুলি ফুলতে শুরু করে। সারা শরীরে ব্যথা শুরু হয়, এমনকি হাঁটাচলা করতেও সমস্যা হয়।