ছবি: সংগৃহীত।
খালিপেটে জল আর ভরা পেটে ফল— বাড়ির বড়দের অনেকের মুখেই এমনটা শোনা যায়। খালিপেটে জল খাওয়ার অভ্যাস নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর। আবার সকাল কিংবা দুপুরের খাবার খাওয়ার পর ফল খাওয়ার কথাও বলেন অনেকে। তবে ফল খাওয়ার সেই অর্থে কোনও চিরাচরিত নিয়ম নেই। ফল এমনই স্বাস্থ্যকর খাবার যে, যে কোনও সময়ে খাওয়া যেতে পারে। অ্যাসিড থাকে বলে খালিপেটে ফল খেতে বারণ করেন পুষ্টিবিদেরা। তবে কিছু ফল আবার খালি পেটে খেলে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এই ফলগুলি সকালের জলখাবারে অনায়াসে রাখা যায়।
কলা
ফলের মধ্যে কলা স্বাস্থ্যগুণে অনেকটাই এগিয়ে। বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপাদানে ভরপুর কলা শরীরের যত্ন নেয় ভিতর থেকে। কলা তাৎক্ষণিক ভাবে শরীর চাঙ্গা এবং চনমনে করে তুলতে সাহায্য করে। হজমেও সাহায্য করে কলা। তাই খালিপেটে কলা খেতে পারেন অনায়াসে।
পেঁপে
হজমের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পাকা পেঁপের কোনও বিকল্প নেই। প্যাপেইন নামে এক ধরনের উৎসেচক থাকে পেঁপেতে। এই উৎসেচক হজমের গোলমাল হতেই দেয় না। এ ছাড়া, পেঁপেতে ক্যালোরি একেবারে নেই। অন্য দিকে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও পেঁপে সত্যিই দারুণ। হজমের গোলমালের ভয় নেই বলে খালিপেটে পাকা পেঁপে খাওয়া যেতে পারে।
আপেল
প্রাকৃতিক শর্করা এবং ফাইবারে সমৃদ্ধ আপেল খালিপেটে খেতেই পারেন। সারা দিন শারীরিক ভাবে চাঙ্গা এবং চনমনে থাকতে সকালে একটা আপেল খাওয়া যায়। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়্ন্ত্রণে রাখতে আপেল ওষুধের মতো কাজ করে। দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি রাখতেও আপেলের জুড়ি মেলা ভার।
তরমুজ
খালিপেটে তরমুজ খেলে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয় বলেই মনে করেন পুষ্টিবিদেরা। তরমুজে জলের পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে শরীর আর্দ্র করে তুলতে তরমুজ সত্যিই উপকারী। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকায় সার্বিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেয় তরমুজ।