চিকেন পক্স ঠেকাতে ডায়েটে কী কী বদল আনবেন? ছবি: শাটারস্টক।
শীত প্রায় বিদায় নিয়েছে, বাইরে বেরোলে বসন্তের হাওয়ার স্পর্শ লাগছে শরীরে। তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করছে। কখনও ঠান্ডা লাগছে, কখনও আবার গরম। প্রকৃতির এই খামখেয়ালি আবহাওয়ায় এমনিতেই রোগবালাইয়ের আশঙ্কা থাকে। তবে শীতের শেষে বসন্তের হাত ধরে বেড়ে যায় চিকেন পক্সের চোখরাঙানি। বায়ুবাহিত এই রোগ যাঁদের এর আগে হয়নি তাঁদের, এবং বিশেষত শিশুদের অবশ্যই এই সময়ে সাবধানে থাকা জরুরি। এমনকি, যাঁদের ইতিমধ্যেই এই অসুখ এক বার হয়েছে, সতর্ক না থাকলে তাঁরাও শিকার হতে পারেন এই অসুখের। তাই সাবধানতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরি।
বায়ুবাহিত এই অসুখ সহজেই সংক্রমণ ছড়ায়। তাই সতর্ক থাকতে হবে প্রথম থেকেই। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই সময়ে বাইরে বেরোলে মাস্ক ব্যবহার করলে ভাল। বাইরে বেরোলে লম্বাহাতা পোশাক পরা জরুরি। এখন যে হেতু শীতের ভাব রয়েছে, ফলে একটু মোটা পোশাক পরলে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। এই অসুখ ঠেকাতে খাবারের দিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে। চিকেন পক্স ঠেকাতে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে নজর রাখতে হবে। এই মরসুমে রোজে কোন খাবারগুলি বেশি করে খাবেন, রইল হদিস।
সজনে: শীত ও বসন্তের এই সন্ধিক্ষণে মাঝেমাঝেই সজনে ফুল এবং ডাঁটা খেতে পারেন। এই সময় বায়ুবাহিত নানা অসুখ ঠেকাতে ও শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সজনে ফুল ও ডাঁটা বেশ উপকারী। বাজারে সজনে গুঁড়োও কিনতে পাওয়া যায়, সেটাও খেতে পারন।
নিম: নিমপাতা এমনিতেই জীবাণুনাশক। এই সময় বেশি করে নিমপাতা খেতে হবে। নিমপাতা সেই ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে। স্বাদে তেতো হলেও এই পাতা কিন্তু রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
টক ফল: মুসাম্বি, কমলালেবু, পাতিলেবু ডায়েটে বেশি করে রাখুন। এই সব ফলে থাকা ভিটামিন সি শরীরের প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
সবুজ শাকসব্জি: সবুজ শাকসব্জিতে রয়েছে মিনারেলস, ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মতো উপাদান। এগুলি শরীরের প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে। সংক্রমণ জাতীয় রোগের ঝুঁকি কমায় সবুজ শাকসব্জি।
টক দই: টক দই টক্সিন দূর করে, শরীর ভিতর থেকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। শরীর ভিতর থেকে টক্সিন মুক্ত থাকলে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা এমনিতেই বেড়ে যায়। বসন্ত রোগ ঠেকাতে তাই ভরসা রাখতে পারেন এই ধরনের প্রোবায়োটিক উপাদান যুক্ত খাবারের উপর। এ ছাড়া দইয়ের প্রোবায়োটিক উপাদান শরীরে নানাবিধ সংক্রমণ ঠেকায়।