মানসিক উদ্বেগ কাজের গতি কমিয়ে দেয়। প্রতীকী ছবি।
কর্মক্ষেত্রে জটিলতা, ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপড়েন, কর্মব্যস্ততা— সব মিলিয়ে মানসিক উদ্বেগ বাড়ছে। দিন দিন যত গতিময় হচ্ছে জীবন, ততই মনের মধ্যে গ্রাস করছে উদ্বেগের মেঘ। এই মানসিক উদ্বেগ কাজের গতি কমিয়ে দেয়। অস্থিরতার জন্ম দেয়। অনেকেরই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ার সমস্যা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে এই সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে কয়েকটি খাবার। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, উদ্বেগের সঙ্গে খাবারের একটা সম্পর্ক রয়েছে। কিছু খাবার রয়েছে যেগুলি নিয়মিত খেলে উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে থাকে। আবার কয়েকটি খাবার রয়েছে, যেগুলি খেলে উদ্বেগের মাত্রা দ্বিগুণ হারে বাড়তে পারে।
মিষ্টি জাতীয় খাবার
মন খারাপের দাওয়াই নাকি মিষ্টি। কারও ক্ষেত্রে মিষ্টি খেলে নাকি মনখারাপ চলে যায়। কিন্তু চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সেটা একান্তই ব্যক্তিগত ধারণা হতে পারে। কিন্তু কেক, পেস্ট্রি বা এই ধরনের খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। এক ধাক্কায় এনার্জির মাত্রাও অনেকটা নীচে নেমে যায়। শর্করার মাত্রা ওঠানামা করায় উদ্বেগও নিয়ন্ত্রণের বাইরে বেরিয়ে যায়। তাই উদ্বেগের সমস্যা যাঁদের রয়েছে, তাঁদের এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি।
কফি
সারা দিনের ক্লান্তি কাটাতে কফির জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু এই কফিই বাড়িয়ে দিতে পারে উদ্বেগের সমস্যা। কারণ কফিতে থাকা ক্যাফিন স্নায়ুর কার্যকারিতা শিথীল করে দেয়। সেই সঙ্গে ক্যাফিন রক্তচাপের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। উচ্চ রক্তচাপ মানসিক উদ্বেগের একটি অন্যতম বড় কারণ। ক্যাফিন মাত্রেই যে ক্ষতিকর, তা নয়। দিনে ৪০০ মিলিগ্রাম ক্যাফিন খেলে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে এর বেশি খেলে কিন্তু উদ্বেগ বাড়তে পারে।
ভাজাভুজি
এই ধরনের খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ট্রান্স ফ্যাট। এই ফ্যাট উদ্বেগ বাড়িয়ে দেওয়ার অন্যতম একটি কারণ। তাই যদি সব সময়ে মানসিক উদ্বেগ কাজ করে, সে ক্ষেত্রে বাইরের ভাজাভুজি এড়িয়ে চলুন। তাতে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। উদ্বেগের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে এই খাবারগুলি।