লাগামছাড়া রক্তচাপ নিয়ে চিন্তা হচ্ছে? ছবি: সংগৃহীত।
উচ্চ রক্তচাপ বশে রাখতে নিয়মিত ওষুধ খান অনেকেই। এক বার এই জাতীয় ওষুধ খেতে শুরু করলে সহজে বন্ধ করা যায় না। তা সত্ত্বেও রক্তচাপ ওঠানামা করে। চিকিৎসকেরা বলছেন, রক্তচাপ বশে রাখতে না পারলে বিপদ আরও বেশি। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে তা হার্টের উপর প্রভাব ফেলে। তবে বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, নিয়মিত কিছু আসন অভ্যাস করলে উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা কিন্তু বশে রাখা যায়। জানেন, সেগুলি কী কী?
১) পর্বতাসন:
প্রথমে হামাগুড়ি দেওয়ার মতো ভঙ্গিতে ম্যাটের উপর বসুন। খেয়াল রাখুন, কনুই যেন ভাঁজ না হয়। এ বার হাত এবং পায়ের পাতার উপর ভর দিয়ে নিতম্ব উপর দিকে তুলে ধরুন। কিন্তু হাঁটু ভাঁজ হবে না। দেখতে অনেকটা ইংরেজি অক্ষর ‘এ’-এর মতো লাগবে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে। তিন থেকে পাঁচ বার এই ব্যায়াম অভ্যাস করুন।
২) বালাসন:
হাঁটু মুড়ে গোড়ালির উপর বসুন। এ বার শরীরটা এমন ভাবে বেঁকান, যাতে বুক ঊরুতে গিয়ে ঠেকে। মাথা গদির উপরে রেখে হাত দু’টি সামনের দিকে প্রসারিত করুন। এই আসন স্নায়ুতন্ত্রের জন্য খুব উপকারী। সেই সঙ্গে ঘাড় ও পিঠের ব্যথা কমাতেও এই আসনের জুড়ি মেলা ভার।
৩) পশ্চিমোত্তনাসন:
প্রথমে দুই পা টান টান করে সোজা হয়ে বসুন। শ্বাস নিতে নিতে দুই হাত মাথার উপরে তুলুন। শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হাত-সহ কোমর থেকে সামনের দিকে বেশ খানিকটা ঝুঁকে মুখ হাঁটুতে স্পর্শ করান। আসন করার সময় পেট ভিতরের দিকে হালকা টেনে রাখুন। আগের অবস্থায় ফেরার সময় শ্বাস নিতে নিতে হাত ওঠান এবং শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হাত নামিয়ে নিন। দিনে তিন থেকে পাঁচ বার এটি করুন।
৪) সেতুবন্ধনাসন:
প্রথমে মাটিতে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাঁটু ভাঁজ করে পা দুটো নিতম্বের কাছে রাখুন। এ বার ধীরে ধীরে মাটি থেকে কোমর তুলে ধরুন। এ বার দুই হাত টান টান করে, গোড়ালি স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। এই অবস্থানে ১০ সেকেন্ড থাকুন। ৪ থেকে ৫ বার এই ভাবে অভ্যাস করুন।
৫) উৎকটাসন:
প্রথমে টান টান হয়ে সোজা দাঁড়ান। তার পর হাঁটু ভেঙে, কোমর সামান্য ঝুঁকিয়ে, শরীরকে চেয়ারের মতো অবস্থায় রাখুন। দুই হাত মাথার উপর তুলে নমস্কার করার ভঙ্গিতে রাখুন। প্রথমে বেশি ক্ষণ না পারলেও ৫ বার করে ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত ধরে রাখার চেষ্টা করুন।