থাইরয়েড থাকলে কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন? ছবি: সংগৃহীত।
এক বার শরীরে থাইরয়েড ঘটিত রোগ বাসা বাঁধলে সারা জীবন সেই রোগ পিছু ছাড়ে না। মূলত শরীরে থাইরয়েড হরমোনের তারতম্যের জন্যেই এই রোগ দেখা যায়। গলার কাছে অবস্থিত একটি ছোট্ট গ্ল্যান্ডের নাম থাইরয়েড। যখন এই গ্রন্থি খুব বেশি পরিমাণে কাজ করতে শুরু করে, কিংবা প্রয়োজনের তুলনায় কম কাজ করে, তখনই এই রোগ দেখা দেয়। হরমোনের তারতম্য তখন খাওয়াদাওয়ার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। হাইপোথাইরয়েডিজম থাকলে শরীরের থাইরয়েড গ্ল্যান্ড পরিমাণ মতো হরমোন ক্ষরণ করে না। তাই চুল পড়ে যাওয়া, হৃদ্স্পন্দন কমে যাওয়া, বিপাক হার কমে ওজন বেড়ে যাওয়ার মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়। হাইপারথাইরয়েডিজম থাকলে থাইরয়েড গ্রন্থি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি হরমোন ক্ষরণ করে। দু’ ক্ষেত্রেই খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। জেনে নিন, থাইরয়েডের ওষুধ খেলে কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন।
সয়াবিন বা সয়াবিন জাত সব খাবার: বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে সয়াবিন বা সয়া-জাত খাবার খেলে থাইরয়েডের ওষুধ ঠিক মতো কাজ না-ও করতে পারে। তাই থাইরয়েড থাকলে সয়াবিন, সয়ার দুধ, টোফুর মতো খাবার মেপে খাওয়াই ভাল।
বাঁধাকপি-ফুলকপি: কপির মতো কোনও খাবারেও সমস্যা হতে পারে থাইরয়েডের ওষুধে। অনেকেই ওজন ঝরাতে ফুলকপি বা কেল পাতার মতো শাক-সব্জি রাখেন ডায়েটে। কিন্তু থাইরয়েড থাকলে এগুলি মেপে খাওয়া জরুরি।
কফি: ক্যাফিন এমনিতেই শরীরের নানা রকম ক্ষতি করে। থাইরয়েড থাকলেও অত্যধিক ক্যাফিন আরওই এড়িয়ে যেতে হবে। তবে একদম ছেড়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। সকালের দিকে খেতে পারেন। বেলা বাড়ার পর আর না খাওয়াই ভাল।
মিষ্টি: চিনি বা বাড়তি মিষ্টি দেওয়া হয়েছে, এমন খাবার ডায়েট থেকে বাদ দিন। থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই চিনি এড়িয়ে চলাই ভাল। চিনির বদলে গুড় বা মধু কিছু রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন।
প্যাকেটের খাবার: যে খাবার বাজারে তৈরি প্যাকেটবন্দি তাতে বাড়তি নুন, চিনি এবং তেল থাকবেই। তাই এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলুন। থাইরয়েড থাকলে প্রক্রিয়াজাত খাবারও না খাওয়াই উচিত।