যষ্টিমধুর গুণাগুণ। ছবি: সংগৃহীত।
ছুটির দিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই সরগম রেওয়াজ করতে হত। শীতের সকালে গলা দিয়ে সুরেলা আওয়াজ বার করা মানে এক যুদ্ধ। সেই সময় থেকেই মুখে যষ্টিমধু দেওয়ার অভ্যাস। এখনও কাশির দাপটে রাতে ঘুমোতে না পারলে ছোটবেলার সেই অভ্যাস ঝালিয়ে নেওয়া হয়। করোনার সময়ে এই যষ্টিমধুর ব্যবহার শুরু হয়েছিল ব্যাপক ভাবে। শ্বাসনালি পরিষ্কার রাখতে, হালকা সর্দি-কাশিতে যষ্টিমধু অত্যন্ত উপকারী। এই শিকড়ের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-মাইমাইক্রোবায়াল গুণ প্রহাদ নাশ করতে, ভাইরাসজনিত সংক্রমণ সমস্যা দূরে রাখে। তবে শুধু সর্দি-কাশি নয়, আরও অনেক উপকারে লাগে এই যষ্টিমধু। তবে অন্তঃসত্ত্বাদের যষ্টিমধু খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
১) ফুসফুসের সমস্যায়
বুকে জমা কফ সরাতে অত্যন্ত কার্যকর এই যষ্টিমধু। শুধু যষ্টিমধু খাওয়াই নয়। জলে, যষ্টিমধু দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে, সেই জলের ভাপ নাক, মুখ দিয়ে প্রবেশ করাতে পারলে শ্বাসযন্ত্রের অনেক সমস্যাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
২) হজমের সমস্যায়
পেটরোগা বাঙালি সারা বছরই হজমের সমস্যায় ভোগে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই অ্যান্টাসিডের শিশির দিকে হাত না বাড়িয়ে খেতে পারেন যষ্টিমধু দিয়ে তৈরি চা। গ্যাস, অম্বল, পেটফাঁপা কিংবা বুকজ্বালার মতো কষ্ট নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এই বিশেষ পানীয়টি।
৩) ত্বকের যত্নে
যষ্টিমধুর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ত্বকের জন্যেও উপকারী। মধু, দই এবং যষ্টিমধুর গুঁড়ো মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে মেখে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট। ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল।
কী ভাবে তৈরি করবেন যষ্টিমধুর চা?
১) প্রথমে পাত্রে জল ফুটতে দিন।
২) এ বার আঁচ একেবারে আস্তে করে বেশ কিছুটা যষ্টিমধু দিয়ে ফুটতে দিন।
৩) ফুটতে ফুটতে জলের রং হালকা সোনালি হয়ে উঠলে গ্যাস বন্ধ করে দিন।
৪) ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে গরম গরম পরিবেশন করুন যষ্টিমধুর চা।