অ্যালো ভেরার হরেক গুণ ছবি: শাটরস্টক।
বাংলায় অ্যালো ভেরা পরিচিত ঘৃতকুমারী নামে। এটিকে দেখতে অনেকটাই ক্যাকটাস বা ফণী মনসার মতো হলেও এটি কিন্তু প্রজাতি হিসেবে মোটেও ক্যাকটাস নয়। বিভিন্ন প্রাচীন সভ্যতাতেই উপকারী ভেষজ হিসেবে এর ব্যবহার উল্লেখযোগ্য। শরীর ভাল রাখতে এর নানা রকম ব্যবহার সম্পর্কে অবগত অনেকেই।
১। ত্বকের যত্নে
অ্যালো ভেরা ভাঙলে ভেতরে যে জেলির মতো পদার্থটি দেখা যায়, সেটি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে দারুন উপযোগী। এতে থাকে একাধিক ভিটামিন যার মধ্যে ভিটামিন ই ও ভিটামিন সি ত্বকের জন্য বিশেষ ভাবে উপযোগী। তা ছাড়া এতে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা ত্বককে কোমল ও মোলায়েম রাখে। রোদে পুড়ে যাওয়া ত্বককে পুনরায় সজীব করতেও সহায়তা করে অ্যালো ভেরা।
২। ‘মেক আপ’ তুলতে
যেহেতু এটি ত্বকের জন্য কোমল ও আর্দ্রতায় পরিপূর্ণ তাই কৃত্রিম রূপটান তোলার সময় এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। একটি তুলোর টুকরো অ্যালো ভেরার জেলে মিশিয়ে মুছে নিলেই কেল্লাফতে। শুধু রূপটানই নয়, দৈনিক ধুলো ময়লা তুলতেও একই ভাবে ব্যবহার করা যায় এই পদ্ধতি।
৩। দাড়ি কাটার ক্রিম হিসেবে
এর ঘনত্ব ও তেলতেলে রূপের জন্য দামি দাড়ি কাটার সাবান বা ক্রিমের বদলে ব্যবহার করা যায় এটি। গরম জল, অল্প তেল ও অ্যালো ভেরা জেলের মিশ্রণ ব্যবহার করা যেতে পারে দাড়ি কাটার সময়। এটি যেহেতু প্রদাহ কমাতেও বেশ কার্যকর তাই দাড়ি কাটার পর জ্বালাও কমে এতে।
৪। দাঁতের যত্নে
অ্যালো ভেরার রস দাঁত এবং মাড়ির ব্যথার উপশম করে থাকে। দাঁতে কোনও সংক্রমণ থাকলে দূর করে দেয় তাও। নিয়মিত অ্যালো ভেরার জুস খাওয়ার ফলে দাঁত ক্ষয়রোধ করা সম্ভব।
৫। ক্যানসার প্রতিরোধে
গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, অ্যালো ভেরায় রয়েছে অ্যালো ইমোডিন, যা স্তন ক্যানসার বিস্তার রোধ করে। এ ছাড়াও অন্যান্য কিছু ক্যানসার প্রতিরোধেও অ্যালো ভেরা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে বলে মনে করেন অনেকে।
এ ছাড়াও সংবহনতন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ও ডায়াবিটিস কমাতেও এর ভূমিকা আছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।