গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে কী খাবেন? ছবি: সংগৃহীত।
ধীরে ধীরে বাড়ছে রোদের তাপ। মেট্রোর ঠান্ডা কামরা থেকে বেরোলেই যেন গায়ে ছেঁকা লাগছে। ঘামও হচ্ছে প্রচুর। সেই সঙ্গে কমছে কাজের ইচ্ছা। গরম, ঘাম আর ক্লান্তিতে যেন সব ধরনের কাজ করার শক্তিই কমতে থাকে। এ সময়ে খাওয়াদাওয়ায় জোর দেওয়া জরুরি, যাতে তার মাধ্যমে কর্মশক্তি পায় শরীর। আবার তার মানে এমন নয় যে, অতিরিক্ত ভারী বা তেলমশলা যুক্ত খাবার খেয়ে নেবেন। তাতে গ্রীষ্মকালে উল্টো প্রভাবই পড়বে শরীরের উপর। এ সময়ে খেতে হবে এমন কিছু খাবার, যা প্রধানত শরীর ঠান্ডা রাখবে। এই সময় কী কী রাখবেন রোজকার ডায়েটে, রইল হদিস।
বেল: গরমে তেষ্টা মেটাতে বেলের শরবত দারুণ বিকল্প হতে পারে। পেট ঠান্ডা রাখা থেকে শুরু করে শরীরের যত্ন নেওয়া— বেলের মতো উপকারী ফল কমই আছে। শুধু বেল খাওয়ার চেয়ে শরবত বানিয়ে খেতে পারেন। শরবতে এক চামচ গোলমরিচ মিশিয়ে দিলে স্বাদ এবং শরীর— দুইয়ের যত্ন একসঙ্গে নেওয়া হবে।
দই: গ্রীষ্মে পাতে টক দই রাখার কথা বলেন পুষ্টিবিদেরা। প্রোটিনে ঠাসা দই গ্রীষ্মকালীন নানা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। দইয়ের প্রোবায়োটিক উপাদান হজমের গোলমাল দূর করতেও সিদ্ধহস্ত।
তরমুজ: এই ফলে জলের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। গরমে তরমুজ শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তরমুজ ক্যানসার, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাকের মতো নানা শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি কমায়। পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও এর ভূমিকা কম নয়। গরমে সুস্থ থাকতে খেতে পারেন তরমুজ।
ডাবের জল: ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এবং ইলেকট্রোলাইট উপাদানে ভরপুর ডাবের জল গরমে বেশি করে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদেরা। গরমে ঘাম বেশি হয়। ফলে ঘামের সঙ্গে শরীরের প্রয়োজনীয় উপাদানগুলি বেরিয়ে যায় দেহের বাইরে। শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে খেতেই হবে এই পানীয়।
লেবু আর ছাতুর শরবত: ছাতু হল এমন একটি খাদ্য, যা নানা ধরনের পৌষ্টিক উপাদানে ভরপুর। জলে ছাতু গুলে, তাতে পাতিলেবুর রস দিয়ে খেলে শরীর যেমন ঠান্ডা থাকে, তেমনই পেট থাকে ভর্তি। আবার ছাতুর পুষ্টিগুণ কর্মশক্তিও জোগায়। অনেকে এই শরবতে অল্প জিরে, পুদিনাও যোগ করে দেন। তাতে স্বাদ বাড়ে। শরীরের সঙ্গে মনও সতেজ থাকে।