রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
কর্মব্যস্ত জীবনে অত্যধিক মানসিক চাপ, খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, রোজ রোজ বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা, শরীরচর্চায় অনীহা— এই অভ্যাসগুলিই মূলত উচ্চ রক্তচাপের জন্য দায়ী। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে প্রতিনিয়ত নানা রকম ওষুধ খেতে হয়। কিন্তু কেবল ওষুধ খেলেই হবে না, চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই একমাত্র পথ, নইলে এই সমস্যা হার্টের রোগও ডেকে আনতে পারে। নিয়ম করে শরীরচর্চা, যোগাসন করার পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে চাইলে ভরসা রাখতে পারেন রসুনে। রান্নার স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরের যত্ন নিতেও এর জুড়ি মেলা ভার। শরীরের বহু সমস্যার সমাধানেই রসুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রসুনে থাকে ‘অ্যালিসিন’ নামক উপাদান, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
খালি পেটে রসুন খেলে শরীর টক্সিনমুক্ত হয়। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বিপাকহার একটু বেশি থাকে। এই সময়ে খালি পেটে রসুন খেলে যেমন ওজন ঝরে দ্রুত, তেমনই বিভিন্ন ক্রনিক রোগ থেকে বাঁচতেও এর জুড়ি নেই। বসন্তের মরসুমে রোগবালাইয়ের ঝুঁকি দূর করতে বেশি করে রসুন খেতে বলা হয়। জেনে নিন, খালি পেটে রসুন খেলে কোন কোন রোগ ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব।
১) সকালে খালি পেটে এক কোয়া রসুন খেলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে যায়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, শরীরের ক্লান্তি দূর হয়।
২) বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে রসুন। রোজ যদি কেউ এক কোয়া রসুন খান, তাঁর ডায়াবিটিসের আশঙ্কা কিছুটা কমতে পারে।
৩) মরসুম বদলের সময়ে অনেকেই ঘন ঘন সর্দি-কাশির সমস্যায় ভোগেন। এক বার ঠান্ডা লাগলে তা কিছুতেই কমতে চায় না। তাঁদের জন্য নিয়মিত সকালে খালি পেটে এক কোয়া রসুন খাওয়া ভীষণ উপকারী।
৪) শরীরকে দূষণমুক্ত করতে রসুন খুবই কার্যকর। সকালে খালি পেটে এক কোয়া রসুন খেলে শরীরে জমা টক্সিন দ্রুত সাফ হয়ে যায়। সার্বিক ভাবে শরীর চাঙ্গা থাকে।
৫) স্মৃতিশক্তি ভাল রাখতেও খালি পেটে এক কোয়া কাঁচা রসুন খাওয়া উপকারী। বয়স্কদের নিয়ম করে রসুন খাওয়া জরুরি।
তবে যাঁদের গ্যাস, অম্বল কিংবা হজমের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত রসুন খাওয়া স্বাস্থ্যকর নয়। এ ছাড়া যাঁদের রক্তক্ষরণের সমস্যা বেশি, তাঁদের জন্যেও বেশি রসুন খাওয়া উচিত হবে না।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে, কোনও ক্রনিক অসুখ থাকলে যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করুন।