ওজন কমাতে হলে সবার আগে হেঁশেলে বদল আনুন। ছবি: সংগৃহীত।
হৃদ্রোগ, কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপের চোঙরাঙানি— সব কিছুর পিছনেই কোথাও না কোথাও বাড়তি ওজনকেই দায়ী করেন চিকিৎসকেরা। কর্মব্যস্ত জীবনে খাবারের সময়ের কোনও ঠিক থাকে না, সময় পেলেও বাইরের খাবারের উপর অত্যধিক নির্ভরশীলতা, মদ্যপান— সব মিলিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা মুশকিল হয়ে পড়ে। ওজন বাগে রাখতে নিয়ম করে শরীরচর্চার পাশাপাশি অনিয়ন্ত্রিত খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানতে হবে। এর পাশাপাশি হেঁশেলে কিছু বদল না আনলে কিন্তু ওজন ঝরবে না। জেনে নিন, ওজন ঝরাতে রান্নাঘরে কোন বদল না আনলেই নয়।
১) ফ্রিজে ফল ও সব্জি ভরে রাখুন: প্রক্রিয়াজাত খাবারে ফ্রিজ ভর্তি করে রাখবেন না। তরমুজ, ফুটি, শসা, মৌসাম্বি জাতীয় ফল ও মরসুমি সব্জি কিনে ফ্রিজে রাখুন। হালকা খিদে পেলে ফল খেয়ে নিন। ছুটির দিনে বেশি করে সব্জি কেটে ফ্রিজে ভরে রাখুন। রান্নায় বেশি করে ব্যবহার করুন সবুজ শাকসব্জি।
২) কাপ ও চামচের ব্যবহার: রান্নাঘরে সাধারণ বাটির বদলে এমন কাপ ও চমচ রাখুন যা মাপ করে জিনিস নিতে সাহায্য করবে। এতে খাবারের পরিমাণ ঠিক থাকবে ও বেশি খাওয়াও আটকাতে পারবেন। পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে মাপ করে খাওয়া শুরু করুন। তেলের পরিমাপ, ভাতের পরিমাপের উপর নজর দিন।
৩) স্যালাড খাওয়ার অভ্যাস: ওজন কমাতে চাইলে বেশি করে সব্জি খেতে হবে। প্রত্যেক বার খাওয়ার সময়ে বাটি ভরে স্যালাড খাওয়ার অভ্যাস করুন। স্যালাড খেলে পেট ভরা থাকে, খুব বেশি কার্বোহাইড্রেট যেমন ভাত-রুটি খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায়। বার বার স্যালাড তৈরি করার ঝক্কি নেওয়া সম্ভব নয়। তাই দিনের শুরুতেই বড় বাটিতে স্যালাড বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। যখনই খাবার খাবেন তার আগে অল্প করে স্যালাড খেয়ে নিন। তবে স্যালাড তৈরির সময় মেয়োনিজ়, স্যালাড ড্রেসিং, সস রাখা যাবে না। সামান্য লেবু, বিটনুন, গোলমরিচ মিশিয়ে স্যালাড খাওয়ার অভ্যাস করুন।
৪) ফ্রিজ পরিষ্কার রাখুন: ফ্রিজে নরম পানীয়, কেক, কুকিজ়, আইসক্রিমের মতো বেশি ক্যালোরিযুক্ত খাবার রাখা চলবে না। সালামি, সসেজের মতো প্রক্রিয়াজাত খাবার দিয়ে ফ্রিজ ভর্তি করবেন না। এতে যখনই ফ্রিজ খুলবেন, এই সব খাবার দেখে খেতে ইচ্ছা করবে। হাতের কাছে না থাকলে খাওয়ার ইচ্ছেও কমবে।
৫) ছোট ছোট প্লেট ব্যবহার করুন: খাবার নেওয়ার সময়ে থালা ভর্তি করে নেওয়াই আমাদের অভ্যাস। রান্নাঘর থেকে বড় থালা সরিয়ে ছোট ছোট প্লেট রাখুন। এতে স্বাভাবিক ভাবেই থালা ভরে খাবার নিলেও খাবারের পরিমাণ কমে যাবে।