গরম থেকে ফিরেই জল খাওয়ার আগে কিছু ক্ষণ বসে বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন। ছবি: শাটারস্টক
গরমের অস্বস্তিতে এখন রাজ্যবাসীর নাজেহাল অবস্থা। ভ্যাপসা গরমে যেন প্রাণ যায় যায় অবস্থা। এরই মাঝে রোদ মাথায় নিয়ে কাজের প্রয়োজনে বাইরে বেরোতে হয় অনেককেই। কাজ সেরে গলদঘর্ম হয়ে বাড়ি ফিরেই হাত চলে যায় ফ্রিজ়ে। থরে থরে সাজিয়ে রাখা ঠান্ডা জলের বোতল থেকে গলায় জল না ঢাললে যেন শান্তি আসে না। চিকিৎসকরদের মতে, রোদ থেকে ঘুরে এসে ঢক ঢক করে ঠান্ডা জল খাওয়ার অভ্যাস শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। এতে সাময়িক আরাম পাওয়া গেলেও শরীরের পক্ষে এই অভ্যাস ঠিক নয়।
রোদ থেকে ফিরে ঠান্ডা জল খাওয়ার প্রবণতা অনেকেরই থাকে। হঠাৎ শরীরে ঠান্ডা জল প্রবেশ করার ফলে রক্তনালিগুলি সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। বিশেষ করে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে। শ্বাসনালিতে শ্লেষ্মার অতিরিক্ত আস্তরণ তৈরি হয়। যার ফলে শ্বাসযন্ত্রজনিত বিভিন্ন সংক্রমণের আশঙ্কা তৈরি হয়।
চিকিৎসকদের মতে, গরম থেকে ফিরেই জল খাওয়ার আগে কিছু ক্ষণ বসে বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন। শরীরের ঘাম শুকিয়ে এলে তার পর সাধারণ জল খাওয়া যেতে পারে।
রোদ থেকে ফিরেই বেশি ঠান্ডা জল খেলে আর কী সমস্যা হতে পারে?
১) অত্যধিক ঠান্ডা জল খাওয়ার অভ্যাস মাইগ্রেনের কারণ হতে পারে।
২) ঠান্ডা জল হজমের সমস্যা বাড়ায়। পাশাপাশি, পেটে ব্যথা এবং ডায়েরিয়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে বেশি ঠান্ডা জল খাওয়ার ফলে।
৩) দাঁতের সমস্যা যাঁদের আছে, তাঁদের ঠান্ডা জল খাওয়ার অভ্যাস থাকলে সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।
৪) নিয়মিত ঠান্ডা জল খাওয়ার অভ্যাসে থাইরক্সিন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। ফলে থাইরয়েড হওয়ার আশঙ্কা একেবারে ফেলে দেওয়া যায় না। সেই সঙ্গে টনসিল গ্রন্থি ফুলে গলাব্যথার সমস্যাতেও ভুগতে হতে পারে।
৫) শরীরের যে স্নায়ুগুলি হৃদ্স্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করে, অতিরিক্ত ঠান্ডা জল খেলে সেই স্নায়ুগুলি শিথিল হয়ে পড়ে। ফলে হার্ট রেট ও পাল্স রেট কমে যায়। এই পরিস্থিতিতে কিন্তু বিপদ ঘটতে পারে। ফলে রোদ থেকে ফিরেই খুব ঠান্ডা জল না খাওয়াই ভাল।
ঠান্ডা জলে কি মেদবৃদ্ধি হয়?
জল খাওয়ার সঙ্গে মোটা হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। জল ঠান্ডা খান, গরম খান কিংবা সাধারণ তাপমাত্রায় খান, তা ওজন কমাতে সাহায্য করে। অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ঠান্ডা জল খেলে উল্টে ওজন কমে।