আমলকি খেলে কী বিপদ হতে পারে? ছবি: সংগৃহীত।
শীত পড়ার আগে থেকেই রোজ আমলকি খেতে শুরু করেছেন। আমলকির মোরব্বা, আচার ছাড়াও রোদে শুকোনো কিংবা কাঁচা আমলকিও খাওয়া যায়। মরসুমি সর্দিকাশি, ঠান্ডা লাগা থেকে বাঁচতে আমলকি খাওয়ার চল বহু পুরনো। আয়ুর্বেদ চিকিৎসায়ও আমলকির বহুল ব্যবহার রয়েছে। ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট-সহ নানা ধরনের গুরুত্বপূর্ণ খনিজে ভরপুর এই ফল চুল এবং ত্বকেরও যত্ন নেয়। কিন্তু বেশি আমলকি খাওয়ার বিপদও আছে।
পুষ্টিবিদ অর্চনা বাত্রা বলেন, “যে কোনও জিনিসের ভাল এবং মন্দ, দু’টি দিকই রয়েছে। তাই খাবারের পরিমাণ সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি। প্রাকৃতিক জিনিসে যে সব উপাদান রয়েছে, সেগুলি সকলের শরীরে সমান ভাবে কাজ করতে পারে না। তাই চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়া সেগুলি চোখ বন্ধ করে খাওয়া যায় না।”
আমলকি খেলে কী কী সমস্যা বাড়তে পারে?
১) রক্তচাপ বাড়তির দিকে থাকলে আমলকি খাওয়া যায়। তবে বেশি আমলকি খেলে কিন্তু রক্তচাপ স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে যাঁদের রক্তচাপ এমনিতেই কম, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ফলটি কিন্তু বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।
২) আমলকিতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। তাই ডায়াবেটিকদের নিয়মিত আমলকি খাওয়ার পরামর্শ দেন অনেকেই। কিন্তু যাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কম, তাঁরা অতিরিক্ত আমলকি খাবেন না। নিয়মিত ডায়াবিটিসের ওষুধ খেলেও আমলকি খেতে হবে বুঝে।
৩) যাঁদের অম্বলের সমস্যা রয়েছে, তাঁরাও বেশি আমলকি খাবেন না। আমলকিতে যথেষ্ট পরিমাণে ‘অ্যাসকরবিক অ্যাসিড’ রয়েছে। অতিরিক্ত অ্যাসিড পাকস্থলীতে অস্বস্তি বাড়িয়ে তোলে। অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো সমস্যাও বৃদ্ধি পেতে পারে।
তা হলে কি আমলকি খাবেন না?
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, উপকারী বলেই বেশি খেয়ে ফেলার প্রবণতা থেকে বিরত থাকতে হবে। তবেই আমলকি কাজে লাগবে। রোজ যদি এই ফল খেতে হয়, তা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।