হার্ট ভাল রাখতে বদল আনুন অভ্যাসে। ছবি: সংগৃহীত।
রোজের জীবনে হাজার রকম অনিয়ম, খাওয়াদাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ না রাখা, শরীরচর্চায় অনীহা— এ সব কারণে ঘরে ঘরে এখন মানুষ বিভিন্ন রোগের কবলে পড়ছেন। ক্রমেই লম্বা হচ্ছে ওষুধের তালিকা। কেউ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন, কেউ আবার হার্টের রোগী। অনেকের শরীরে আবার ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল, থাইরয়েড একসঙ্গেই বাসা বেঁধেছে। রোগবালাইয়ের কবল থেকে নিজেকে রক্ষা করতে রোজের কিছু অভ্যাসে বদল আনা জরুরি। যেমন, সকালে উঠে দুধ-চিনি দেওয়া চায়ের বদলে এক গ্লাস বিটের রসে চুমুক দিলেই কিন্তু অনেক অসুখ ঠেকিয়ে রাখতে পারেন। জেনে নিন, কেন সকালে খালি পেটে বিটের রস খাওয়া উপকারী।
১) হার্টে অসুখের ঝুঁকি কমায়: বিটে আছে নাইট্রেট। তা শরীরে গিয়ে নাইট্রিক অক্সাইডে পরিণত হয়। রক্তনালিগুলির মুখ খুলে যায়, যার হাত ধরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, রক্ত সঞ্চালন বাড়ে শরীরে৷ হৎপিণ্ড অনেক বেশি সচল থাকে৷ এ ছাড়া, নিয়মিত বিট খেলে ইস্কিমিক হার্ট ডিজ়িজেরও প্রকোপ কিছুটা কমে। এর মূলে আছে বিটেইন নামের উপাদান।
২) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: বর্ষার মরসুমে ভাইরাস-ব্যাক্টেরিয়া কাবু করে আমাদের। ফলে জ্বর, সর্দি, কাশি এখন ঘরে। এই সময়ে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে, শরীর চাঙ্গা রাখতে নিয়ম করে বিটের রস খেতে পারেন। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
৩) ত্বকের জেল্লা বৃদ্ধি করে: বিটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন সি। ত্বকের দাগ-ছোপ, বলিরেখার মতো সাধারণ সমস্যাগুলি প্রতিরোধ করে এই বিট। বিটে থাকা বেটালেন্স নামক যৌগটি শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে। ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ভাল হলে ভিতর থেকে ত্বক জেল্লাদার হয়ে ওঠে। গালের দু’দিকে লালচে আভা আনতে আর প্রসাধনীর সাহায্য নিতে হবে না।
৪) স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে: বিটে থাকা নাইট্রেট শরীরে রক্ত সঞ্চালনের হার বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। মস্তিষ্কেও রক্ত চলাচল ভাল হয়, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। বিটের রস নিয়ম করে খেলে স্মৃতিশক্তিও ভাল থাকে।
৫) চুল পড়ার সমস্যা কমে: আয়রন, ফোলেট এবং ভিটামিন সি-র মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলি চুল ভাল রাখতে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই সব খনিজ রয়েছে বিটের মধ্যে। শুধু চুল ঝরা নয়, নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে বিটের রস।