রোজ পরিমিত পরিমাণে তিসি খেলে কী উপকার হবে? ছবি: সংগৃহীত।
শারীরিক কসরতের পাশাপাশি খাওয়াদাওয়ায় রাশ না টানলে শ্রমটাই বৃথা যাবে। কাজের কাজ কিছুই হবে না। রোজের সাধারণ খাবারের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি করতে অনেকেই ইদানীং নানা প্রকার বীজের শরণ নিচ্ছেন। সেই সব চির পরিচিত বীজের মধ্যে অন্যতম হল তিসি। একটা সময় পর্যন্ত অনেক খাবারই রান্না করা হত তিসির তেলে। কিন্তু বীজটিও যে ফেলনা নয়, তা মানুষ জেনেছেন অনেক পরে।
১) তিসি বা ফ্ল্যাক্সসিড হল ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস। এ ছাড়া তিসির বীজে রয়েছে আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিড। এই সমস্ত উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে সামগ্রিক ভাবে হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখে।
২) কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলেও রোজের ডায়েটে তিসির বীজ রাখতে পারেন, উপকার পাবেন।
৩) তিসির বীজে ফাইবার থাকে। ডায়াবেটিকরাও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই বীজ খেতে পারেন।
৪) তিসির বীজে থাকা বিভিন্ন উপাদান শরীরে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ভাল কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
৫) লিগন্যান্স নামক একটি উপাদান রয়েছে তিসিতে। এই উপাদানটি শরীরে ‘ফাইটোইস্ট্রোজেনিক’ রূপে কাজ করে। অর্থাৎ, শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের ঘাটতি পূরণ করে। ফলে রজোনিবৃত্তির সময়ে মহিলাদের হরমোনের হেরফের সামাল দেওয়ার কাজটিও ভালই সামলে দেয়।
তিসির বীজ কী ভাবে খাবেন?
‘ফ্ল্যাক্স সিড’ খেতে গেলে বীজ শুকনো খোলায় ভেজে নেওয়া জরুরি। অনেকে ‘রোস্ট’ করার পরে গুঁড়িয়ে নেন তিসি। তিসির বীজ সরাসরি খেলে হজম হতে সময় নেয়, তাই গুঁড়ো করে খাওয়াই শ্রেয়। আটা-ময়দা মাখার সময়ে ‘ফ্ল্যাক্স’ গুঁড়ো অল্প পরিমাণে মিশিয়ে রুটি তৈরি করতে পারেন। আবার সকালে খালি পেটে এক চা চামচ তিসির গুঁড়ো গরম জলে মিশিয়ে নিয়ে খেতে পারেন। এতে লেবু মিশিয়ে খেলে আরও ভাল ফল পাবেন। এ ছাড়া ‘স্মুদি’, ‘মিল্কশেকের’ সঙ্গেও এই বীজ খেতে পারেন।