Pomegranate for Hair Growth

চুল পড়া, খুশকি, জটমুক্ত করার বেদনা মিটিয়ে দেবে বেদানা! ফলটি কী ভাবে মাথায় মাখতে হবে?

কেশসজ্জা শিল্পীরা বলছেন, চুলে রাসায়নিক প্রসাধনী ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে দেখা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে বেদানা কিন্তু বেশ কাজের।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:০০
pomegranate

ছবি: সংগৃহীত।

মাথায় যে ক’টা চুল রয়েছে, সেগুলিকে ধরে রাখতে কী না করেছেন! কিন্তু লাভের লাভ তো কিছুই হয় না। চুল পড়া বন্ধ হলে খুশকি থেকে যায়। আবার খুশকির জন্য রাসায়নিক দেওয়া শ্যাম্পু মাখলে মুঠো মুঠো চুল উঠতে শুরু করে। দামি তেল, নামী শ্যাম্পু, সিরাম— সবই বাদের খাতায় নাম লিখিয়েছে। তা হলে উপায়?

Advertisement

কেশসজ্জা শিল্পীরা বলছেন, চুলে রাসায়নিক প্রসাধনী ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে দেখা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে বেদানা কিন্তু বেশ কাজের। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, নানা রকম ভিটামিন এবং খনিজে ভরপুর এই ফলটি চুল পড়া রুখতে, নতুন চুল গজাতে, এমনকি অকালপক্বতা রোধ করতেও সাহায্য করে।

২০২৩ সালে ‘জার্নাল অফ দ্য কোরিয়ান সোসাইটি অফ কসমেটোলজি’-তে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট-যুক্ত উপাদান। বেদানায় যে হেতু অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের পরিমাণ বেশি, তাই সেই কাজে ফলটি সাহায্য করে। মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল ভাল হলে ফলিকলে পুষ্টি পৌঁছয়। যা নতুন চুল গজানোর পক্ষেও সহায়ক হয়। আবার, ২০১৩ সালে ‘পাবমেড সেন্ট্রাল’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, বেদানা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানে সমৃদ্ধ। অর্থাৎ, মাথার ত্বকে প্রদাহজনিত কোনও সমস্যা হলে তা-ও রুখে দিতে পারে ফলটি।

জেনে নিন চুলের যত্নে বেদানা ব্যবহার করবেন কী ভাবে:

১) বেদানার রস:

শ্যাম্পু করার পর চুলে এবং মাথার ত্বকে বেদানার রস মেখে নিন। মিনিট দুয়েক রেখে ধুয়ে ফেলুন। নিষ্প্রাণ চুলে জেল্লা ফিরিয়ে দিতে পারে বেদানার রস। চুলের নিজস্ব রং ধরে রাখতেও সাহায্য করে।

২) বেদানা বীজের তেল:

বেদানার বীজের তেল হালকা গরম করে মাথার ত্বকে মেখে নিন। আধ ঘণ্টা রেখে দিন ওই ভাবে। তার পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। রুক্ষ চুল রেশমের মতো নরম করে এই তেল। আর্দ্রতা ধরে রাখতেও সাহায্য করে।

৩) বেদানার রস, মধুর মাস্ক:

ছোট একটি পাত্রে বেদানার রস এবং মধু মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে নিন। মাথার ত্বকে মেখে রেখে দিন আধ ঘণ্টা। তার পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। স্ক্যাল্পের পিএইচের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এই মাস্ক। ফলে মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয় না। খুশকির সমস্যাও সামাল দেওয়া যায়।

৪) বেদানার রস, ডিমের মাস্ক:

ছোট একটি পাত্রে ডিম এবং বেদানার রস ভাল করে ফেটিয়ে নিন। এই মাস্ক মাথার ত্বক এবং চুলে ভাল করে মেখে নিন। আধ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে নিন। চুল পড়ার সমস্যা দূর করে, নতুন চুলও গজানোর ক্ষেত্রেও দারুণ কাজ করে এই মাস্ক।

৫) বেদানার রস, জবাফুল:

২ কাপ জলে ২-৩টি জবাফুল দিয়ে ফুটিয়ে নিন। তার সঙ্গে মেশান দু’টেবিল চামচ বেদানার রস। শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার না করে ওই মিশ্রণ দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। চুল জটমুক্ত রাখতে এবং ঘনত্ব বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে এই তরলটি।

Advertisement
আরও পড়ুন