এমন কিছু চা রয়েছে, যেগুলি নিয়মিত খেলে হজম সংক্রান্ত অনেক সমস্যাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। ছবি: সংগৃহীত।
এমনিতে রোজ বাড়ির সাধারণ খাবারই খান। কিন্তু বাইরে বেরিয়ে আশপাশ থেকে এগরোল, বিরিয়ানি কিংবা কবাবের গন্ধ ভেসে এলে নিজেকে আর সামলে রাখতে পারেন না। খাওয়ার পরই গলা-বুক জ্বালা, চোঁয়া ঢেকুর উঠতে থাকে। পেটরোগা বাঙালির এই সর্বজনীন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত শরীরচর্চা করা জরুরি। কিন্তু বললেই তো আর শরীরচর্চা করার সময় পাওয়া যায় না। জল তেষ্টা পেলেও খাওয়া হয় না অনেক সময়ে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের ফলে হজমশক্তির অবনতি ঘটে। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এমন কিছু চা রয়েছে, যেগুলি নিয়মিত খেলে হজম সংক্রান্ত অনেক সমস্যাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
১) ক্যামোমাইল চা
অ্যাসিড রিফ্ল্যাক্স থেকে শুরু করে হজম সংক্রান্ত পেট ব্যথা— সবেতেই আরাম দেয় ক্যামোমাইল চা। ক্যামোমাইল ফুলের নির্যাসে রয়েছে তারপেনয়েড, ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। তা গলা-বুক জ্বালা বা প্রদাহের সমস্যায় আরাম দেয়।
২) মৌরির চা
মৌরির মধ্যে রয়েছে আয়রন, ক্যালশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ। যা গ্যাস, অম্বল, গলা-বুক জ্বালা, পেটফাঁপার মতো সমস্যা নিরাময় করে। পেটের পেশির প্রদাহে আরাম দেয় মৌরির অ্যান্টিস্প্যাসমোডিক উপাদান।
৩) আদা দেওয়া চা
গ্যাস, অম্বলের সমস্যায় আরাম পেতে অনেকেই মুখে আদার কুচি দিয়ে রাখেন। অন্ত্রে থাকা খারাপ ব্যাক্টেরিয়ার প্রভাব মুক্ত করতেও সাহায্য করে আদা। এ ছাড়া মহিলাদের ঋতুস্রাবজনিত সমস্যায় আরাম দেয় আদা দেওয়া চা।
৪) পুদিনা পাতার চা
হজমশক্তি উন্নত করতে খাওয়াদাওয়ার পর অনেকেই পুদিনার চা খেয়ে থাকেন। পাকস্থলীর পেশির সঙ্কোচন, প্রসারণে পেটে যে ধরনের অস্বস্তি হয়, তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখে। পেটফাঁপার সমস্যা থেকেও আরাম দেয় এই পুদিনার চা।
৫) জোয়ানের চা
রাতে খাওয়াদাওয়ার পর মুখশুদ্ধি হিসাবে জোয়ান খেয়ে থাকেন অনেকে। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, হজমের সমস্যা হলে জোয়ান খাওয়ার চেয়ে জলে ফুটিয়ে যদি তার চা তৈরি করে খাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে উপকার মিলবে বেশি।