বাবার স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখবেন কী ভাবে, জেনে নিন। ছবি: সংগৃহীত।
বাড়িতে সকলের আবদার মেটানোর একটাই লোক। তিনি হলেন বাবা! বাবার কাছে যা-ই আবদার করা হোক না কেন, তিনি চেষ্টা করেন সন্তানদের যাবতীয় ইচ্ছা পূরণ করার। মায়ের কাছে বকুনি খেলে সবার আগে বাবার কথাই মনে পড়ে। তবে বাড়িতে সকলের খুঁটিনাটি প্রয়োজনের খেয়াল রাখলেও নিজের ব্যাপারে বড়ই উদাসীন তাঁরা। তাই বাবার চিন্তা না হয় আপনি করলেন। বাবা অবহেলা করলেও তাঁর শরীরের যত্ন নিতে আপনি কোন দিকগুলি একেবারেই অবহেলা করবেন না, সেগুলি জেনে নিন।
১) নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা: অনেক বাবাই যুক্তি দেন, তিনি একদম ফিট! শরীরে যদি কোনও রোগ না-ও থাকে, তা হলেও বছরে এক বার অন্তত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতেই হবে। আগে থেকে কোনও রোগ ধরা পড়লে তাকে গোড়াতেই নির্মূল করা সহজ। সেই দায়িত্বভার কিন্তু নিতে হবে আপনাকেই।
২) চিকিৎসকের পরামর্শ: শরীরে কোনও অস্বস্তি হলেও নিজের মধ্যেই চেপে রাখেন বাবারা। একটু ব্যথা হলেই ওষুধ খেয়ে ফেলার অভ্যাস রয়েছে অনেকের। এই অভ্যাস মোটেও ভাল নয়। শরীরে কোনও অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সামান্য পেটে ব্যথাও হৃদ্রোগেরও ইঙ্গিত হতে পারে। সতর্ক থাকলে তবেই মারণরোগের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। তাই বাবার শরীরে কোনও রকম অস্বস্তি হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৩) বিশ্রামের ব্যবস্থা: আমাদের চাহিদা পূরণ করতে তাঁরা দিন রাত পরিশ্রম করেন। কাজের মধ্যে তাঁরা এতটাই ডুবে যান যে, অন্য কোনও দিকে হুঁশ থাকে না। ফলে মানসিক চাপ বাড়তে থাকে। এই মানসিক চাপই কিন্তু নানা রোগের মূলে রয়েছে। তাই কাজের মাঝে বিরতি নেওয়া ভীষণ জরুরি। বাবাকে কাজ থেকে মাঝেমধ্যেই বিরতি নিতে বলুন। বেড়াতে যান। এতে মনমেজাজ ভাল থাকবে।
৪) ধূমপানের অভ্যাস ছাড়ানো: বাবার ধূমপানের অভ্যাস আছে? বার বার তাঁর কাছে এই অভ্যাস ছাড়ার অনুরোধ করুন। এই অভ্যাস ছাড়তে পারলে কেবল ক্যানসারের ঝুঁকি কমবে না, ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মতো রোগকেও ঠেকানো সম্ভব। তাই সবার আগে চেষ্টা করুন বাবার এই অভ্যাসে রাশ টানতে।
৫) নিয়মিত শরীরচর্চা করছেন কি না নজরে রাখা: শারীরিক কসরতের মধ্যে থাকলে অনেক রোগের হাত থেকেই মুক্তি পাওয়া যায়। তাই বাবাকেও শরীরচর্চা করতে উৎসাহ দিন। তাঁকেও জিমে ভর্তি করান। আর একান্তই সময় না হলে রোজ সকালে বা রাতে বাবাকে নিয়ে হাঁটতে বেরোন। বাবার জন্য একটি স্পোর্টস শ্যু কিনতে পারেন। প্রয়োজনে আপনিই বাবার ব্যায়ামসঙ্গী হতে পারেন। নিয়মিত ব্যায়াম করলে অনেক রোগের ঝুঁকি কমবে।