— প্রতীকী চিত্র।
ছুটির দিন। ঘুম থেকেও উঠেছেন দেরিতে। তার পর থেকেই হঠাৎ মাথা দপদপ করছে। বেলা বাড়তে থাকলে এই ব্যথাই ধীরে ধীরে যন্ত্রণার দিকে মোড় নিতে শুরু করে। যা ক্রমশ ছড়িয়ে যায় চোখে, ঘাড়ে। এমন সমস্যায় ভুগতে থাকেন অনেকেই। যন্ত্রণা কমানোর জন্যে ব্যথানাশক খান অনেকেই। সাধারণ গ্যাস-অম্বল থেকে যদি মাথাব্যথা না হয়, তেমন কোনও মানসিক চাপ যদি না থাকে, তবে এমন সমস্যা কিন্তু মাইগ্রেনের কারণেও হতে পারে। এই ধরনের যন্ত্রণা ওষুধ খেয়ে পুরোপুরি নির্মূল করা যায় না। জীবনযাপনে পরিবর্তন আনতে না পারলে এই ধরনের যন্ত্রণা বশে রাখা সম্ভব নয়। তাই যোগ প্রশিক্ষকেরা বলছেন, নিয়মিত কিছু যোগাসন করে এই ধরনের সমস্যাকে বশে রাখা যায়।
১) পশ্চিমোত্তনাসন
প্রথমে দুই পা টানটান করে সোজা হয়ে বসুন। শ্বাস নিতে নিতে দুই হাত মাথার উপরে তুলুন। শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হাতসহ কোমর থেকে সামনের দিকে বেশ খানিকটা ঝুঁকে মুখ হাঁটুতে স্পর্শ করুন। আসন করার সময় পেট ভিতরের দিকে হালকা টেনে রাখুন। আগের অবস্থায় ফেরার সময় শ্বাস নিতে নিতে হাত ওঠান এবং শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হাত নামিয়ে নিন। দিনে তিন থেকে পাঁচ বার এটি করুন।
২) সেতুবন্ধনাসন
প্রথমে মাটিতে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাঁটু ভাঁজ করে পা দু’টো নিতম্বের কাছে রাখুন। এ বার ধীরে ধীরে মাটি থেকে কোমর তুলে ধরুন। এ বার দুই হাত টান টান করে, গোড়ালি স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। এই অবস্থানে ১০ সেকেন্ড থাকুন। ৪ থেকে ৫ বার এই ভাবে অভ্যাস করুন।
৩) জানু শীর্ষাসন
একটি পা সামনের দিকে টান টান করে ছড়িয়ে বসুন। আর একটি পা মুড়ে রাখুন। কোমর থেকে ভাঁজ করে শরীরকে সামনের দিকে নিয়ে যান। যেন আপনার বুক উরুতে ঠেকে থাকে। মাথা হাঁটুতে স্পর্শ করে পায়ের আঙুল ছোঁয়ার চেষ্টা করুন।
৪) পদ্মাসন
বাঁ উরুর উপর ডান পা এবং ডান উরুর উপর বাঁ পা রেখে মেরুদণ্ড সোজা করে বসুন। এ বার দু’হাত সোজা করে হাঁটুর ওপর রাখুন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে। এই ভাবে বসা অভ্যাস করুন মিনিট পাঁচেক।
৫) পদাহস্তাসন
প্রথমে টানটান হয়ে দাঁড়ান। স্বাভাবিক ভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। এ বার কানের পাশ থেকে দুই হাত তুলে মাথার উপরে রাখুন। এবার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে সামনের দিকে ঝুঁকে পায়ের পাতা স্পর্শ করুন। তবে এই সময়ে খেয়াল রাখতে হবে, হাঁটু যেন ভেঙে না যায়। জোর করে কিছু করার প্রয়োজন নেই। যতটুকু সহ্য করতে পারেন, সে ভাবেই অভ্যাস করুন।