শীতের শুরুতে ফুসফুসের সংক্রমণ ঠেকাবেন কী করে? ছবি: সংগৃহীত।
বাতাসে ভাসমান বিভিন্ন ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়ার এবং ধূলিকণার আক্রমণে সবার প্রথম আক্রান্ত হয় ফুসফুস। কারণ, নাক দিয়ে অক্সিজেন নেওয়ার সময়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের মধ্যে দিয়ে যাবতীয় অশুদ্ধি সরাসরি ফুসফুসে পৌঁছয়। তার পর তা মিশে যায় রক্তের সঙ্গে। সেখান থেকেই নানা সংক্রমণ, অ্যাজ়মা, সিওপিডি-র মতো যাবতীয় রোগের শুরু হয়। শীতকালে আরও বেশি বাড়ে সংক্রমণে ঝুঁকি। ইতিমধ্যেই রাতের দিকে শীত শীত ভাব পড়তে শুরু করেছে। এই সময়ে সতর্ক না হলেই ফুসফুসে সংক্রমণ জাঁকিয়ে বসে। একটু সতর্ক হলেই শীতের সময়ে সংক্রমণের ঝুঁকি এ়ড়িয়ে চলা যায়। জেনে নিন, শীতের মরসুমে ফুসফুস চাঙ্গা রাখবেন কী ভাবে।
১) ফুসফুসের সংক্রমণ এড়িয়ে চলতে হলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে চলতে হবে। সংক্রমণ ঠেকাতে ঘন ঘন হাত ধোয়া ভীষণ জরুরি। রাস্তায় বেরোলেই স্যানিটাইজ়ার সঙ্গে রাখুন। সময় করে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
২) ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যা বেড়ে যাওয়ার জন্য দূষণ এবং ধূলিকণার দোষ যদি হয় ৬০ শতাংশ, তা হলে ৪০ শতাংশ দায় কিন্তু ধূমপানের। এই আবহাওয়ায় ফুসফুসের জটিল রোগ ‘সিওপিডি’ বেড়ে যাওয়ার জন্যও দায়ী সেই ধূমপান। তবে সিগারেট থেকে শুধু প্রত্যক্ষ ধূমপায়ীরা নন, আশপাশে পরোক্ষ ধূমপায়ীরাও কিন্তু আক্রান্ত হন।
৩) ফুসফুসের সংক্রমণ ঠেকাতে আবার মাস্ক পরার অভ্যাস শুরু করুন। রাস্তায় বেরোলে কিংবা ভিড়ের মধ্যে কোথাও গেলে মাস্ক পরা জরুরি।
৪) শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলিকে সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে ব্যায়াম করা আবশ্যিক। কিন্তু ফুসফুসের কার্যকারিতা ভাল রাখতে গেলে বিশেষ কিছু ব্যায়াম রয়েছে, যা ফুসফুস পরিষ্কার করার পাশাপাশি, তার কার্যক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে করা এই ব্যায়ামগুলি কাজ করতে করতেও করা যায়। তবে খেয়াল রাখবেন, যে ব্যায়ামই করুন না কেন, তা যেন পরিমিত হয়। অতিরিক্ত শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করলে অনেকের ক্ষেত্রেই কিন্তু হাঁপানির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৫) এই সময়ে ফুসফুসের সংক্রমণ ঠেকাতে স্বাস্থ্যকর খাবারদাবার খাওয়া জরুরি। ডায়েটে বেশি করে ফল ও শাাকসব্জি রাখুন। ভিটামিন সি-তে সমৃদ্ধ ফল শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই রোজ লেবু, কমলালেবুজাতীয় ফল বেশি করে খেতে হবে।