‘অস্টিয়োপোরোসিস’ বশে আসবে মাত্র ২৫ মিনিটে। ছবি- সংগৃহীত
বয়স বাড়লে হাড়ে ঘুণ ধরবেই, যদি না আগে থেকে তা প্রতিরোধ করা হয়। প্রতি দিন ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার এবং পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি হাড়ের এই ঘুণ ধরা রুখতে পারে। সুষম খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে প্রতিদিন মাত্র ২৫ মিনিটের যোগাভ্যাস হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করতে বিশেষ ভাবে উপকারী।
‘অস্টিয়োপোরোসিস’ কী?
বয়স বাড়লে বা অন্যান্য শারীরিক কারণে হাড়ের ক্যালশিয়াম-সহ অন্যান্য উপাদান কমে গেলে হাড় ক্ষয়ে যায়। ফলে সামান্য চোট বা আঘাতে ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। ডাক্তারি পরিভাষায় একে বলে অস্টিয়োপোরোসিস।
মহিলাদের ঋতুনিবৃত্তির পর অস্টিয়োপোরোসিসের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি। ঋতুবন্ধের পর শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের অভাব হলে হাড়ের ক্যালশিয়াম জমার পরিমাণ কমতে শুরু করে। তবে এ কথাও ঠিক যে, বেশি বয়সে হাড়ের ক্যালশিয়াম কমে গিয়ে হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেরই হতে পারে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হল এই রোগটি আসে নিঃশব্দে। পড়ে গিয়ে হাড় ভাঙলে তখন টের পাওয়া যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু খাবার বা ওষুধ নয়। সারা দিনে মাত্র ২৫ মিনিট কিছু আসন অভ্যাস করলে বয়সকালে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
কোন কোন আসনে বশে থাকবে ‘অস্টিয়োপোরোসিস’?
১) বজ্রাসনে প্রাণ মুদ্রা
হাঁটু মুড়ে পায়ের উপর বসুন। দু’হাতের অনামিকা, কনিষ্ঠা এবং বুড়ো আঙুল ভাঁজ করে একসঙ্গে স্পর্শ করুন। মধ্যমা এবং তর্জনি সোজা রাখবেন।
২) পশ্চিমোত্তনাসন
প্রথমে পা ছড়িয়ে, সোজা হয়ে বসে পড়ুন। পা, পিঠ যেন টান টান থাকে। দু’টি হাত উপরের দিকে তুলে লম্বা একটা শ্বাস নিন। এ বার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে কোমরের পেশিকে টেনে সামনের দিকে নিয়ে যান। ধীরে ধীরে মাথা হাঁটুতে ঠেকাতে চেষ্টা করুন। দুই হাত দিয়ে পায়ের পাতার তলা ছোঁয়ার চেষ্টা করুন।
৩) বৃক্ষাসন
সোজা হয়ে দাঁড়ান। এক পা মুড়ে, পায়ের পাতাটি অন্য পায়ের ভিতরের দিকে রাখুন। দু’হাত প্রণামের ভঙ্গিতে রেখে দেহের ওজন একটি পায়ে রাখার চেষ্টা করুন।
৪) বীর ভদ্রাসন
একটি পা সামনের দিকে বাড়িয়ে, হাঁটু থেকে ৯০ ডিগ্রি কোণে ভাঁজ করুন। অন্য পা পিছনে টান টান করে রাখুন। কোমর থেকে দেহের উপরের অংশ এক পাশে ঘুরিয়ে নিন। দুই হাত সামনের দিকে প্রসারিত করুন।
৫) ত্রিকোণাসন
দুই পা যতটা সম্ভব পাশাপাশি স্ট্রেচ করুন। একটি পা হাঁটু থেকে ৯০ ডিগ্রি কোণে ভাঁজ করুন। এ বার দেহ ভাঁজ করে একটি হাত ওই ভাঁজ করা পায়ের পাতার সামনে রাখুন। অন্য হাতটি বিপরীত দিকে তুলে ধরুন।